বিধানচন্দ্র রায়ের মাল্যদানেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট, বিধাননগরেই অস্বস্তিতে শাসক দল

  • বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও প্রকট গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
  • সুজিত- সব্যসাচী গোষ্ঠীর বিভেদ ফের প্রকাশ্য
  • বিধাননগর পুরসভার অনু্ষ্ঠানে মেয়রকে বয়কট
  • বয়কট করলেন সুজিতপন্থী কাউন্সিলররা

debamoy ghosh | Published : Jul 1, 2019 6:20 AM IST / Updated: Jul 01 2019, 11:54 AM IST

বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে মাল্যদান করা নিয়েও বিধাননগর পুরসভার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। মেয়র সব্যসাচী দত্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় সেই অনুষ্ঠান কার্যত বয়কট করে দূরে দাঁড়িয়ে থাকলেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর অনুগামীরা। বিধায়ক সুজি বসু আসার পরেই বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তিতে মালা পরালেন তাঁরা। গোটা অনুষ্ঠানে সব্যসাচী এবং সুজিত গোষ্ঠীর বিভাজন সামনে চলে এলেও মুখে তা কেউ স্বীকার করেননি। 

বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে এলাকার বিধায়ক সুজিত বসুর বিবাদ দীর্ঘদিনের। লোকসভা নির্বাচনের পরে প্রকাশ্যেই সুজিত বসুর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন সব্যসাচী দত্ত। এবার সব্যসাচীর বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। তাঁরা সুজিত বসু শিবিরের বলেই পরিচিত। যাঁর নাম বিধাননগর পুর এলাকার নামকরণ হয়েছে, সেই বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিনেও দৃষ্টিকটুভাবে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। 

আরও পড়ুন- চার বড় নেতাকে বসিয়ে দেওয়ার পরামর্শ, প্রশান্তের তালিকায় মমতার ভরসার মুখও

প্রতি বারের মতোই এবারও বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিধাননগর পুরসভা। সকালে সেখানে হাজির হন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়রের অনুগামী বলে পরিচিত জনাকয়েক কাউন্সিলর। সব্যসাচী দত্ত মালা দেওয়ার সময় মূল অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে অপেক্ষা করতে থাকেন ডেপুটি মেয়র-সহ অধিকাংশ কাউন্সিলররা। মেয়র মালা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন বিধায়ক সুজিত বসু। তার পরেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডেপুটি মেয়র-সহ সুজিত গোষ্ঠীর কাউন্সিলররা। 

সব্যসাচীবাবু বলেন, 'বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তিতে মালা দিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। তাপসবাবু কেন দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেটা ওনাকেই জিজ্ঞেস করুন। প্রটোকল অনুযায়ী আগে মেয়র মাল্যদান করেন, তার পরে ডেপুটি মেয়র।' আবার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা যদি এলাকার বিধায়কের জন্য অপেক্ষা করি, তার মধ্যে অন্যায়ের কিছু তো নেই।'

আর বিধায়ক সুজিত বসুর দাবি, 'এর মধ্যে আমরা- ওরা বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই। ওরা আমাকে নিজেকে নেতা হিসেবে মানেন বলেই আমার জন্য অপেক্ষা করেছেন। আমি আগেই জানিয়েছিলাম, আমার আসতে সাড়ে ন'টা বাজবে।' সুজিতবাবু যাই বলুন না কেন, গোটা ঘটনায় পুরনিগমের আধিকারিকরাও বেজায় অস্বস্তিতে পড়েন। 


 

Share this article
click me!