'কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী', সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার হুঁশিয়ারী 'জঙ্গলমহলের'

Published : Sep 30, 2020, 08:52 AM ISTUpdated : Sep 30, 2020, 08:55 AM IST
'কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী', সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার হুঁশিয়ারী 'জঙ্গলমহলের'

সংক্ষিপ্ত

রাজ্য পালাবদলে বড়সড় ভূমিকা ছিল জঙ্গল মহলের কিন্তু ১০ বছরে সরকার কোনও কথা রাখেনি বলে অভিযোগ তাই সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একাংশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে সরকারের  

মাওবাদী আন্দোলনের অবসান ও জঙ্গলমহলের উন্নয়ন। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের পাশাপাশি জঙ্গলমহলের সমস্যার সমাধান ছিল বাংলার মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসার অন্যতম কারণ। একাধিকবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা বলতে শুনেছি জঙ্গল মহল হাসছে। বলেছেন রক্তপাত, জীবনহানি, স্বজন হারার কান্না এসব এখন অতীত। জঙ্গলমহল জুড়ে শুধুই এখন উন্নয়নের জোয়ার। সব প্রতিশ্রুতিই কি রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী? মাওবাদীদের হাতে নিখোঁজ ও শহিদ পরিবারগুলির অভাব,অভিযোগ, আক্ষেপ কিন্তু সেকথা বলছে না। প্রদীপের নীচের কালো অন্ধকারটা কী অদেখাই থেকে গেল মাননীয়ার।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মাওবাদী আমলে ঝাড়গ্রাম জেলায় নিখোঁজ হয়েছেন ৮১ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৬ জন, বাঁকুড়ায় ১ জন ও পুরুলিয়ায় ১৬ জন। মুখ্যমন্ত্রী হয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাওবাদীদের হাতে নিখোঁজ ও শহিদ পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াবেন তিনি। কিন্তু তারপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ১০ বছর। এখনও কোনও সাহায্য তো দুরস্থ নিখোঁজদের ডেথ সার্টিফিকেট পর্যন্ত মেলেনি। বিভিন্ন সময়ে জেলাশাসক থেকে নবান্ন পর্যন্ত দরবার করেছেন তাঁরা। কিন্তু আদতে লাভের লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

ইতিমধ্যেই জঙ্গলহলের নিখোঁজ ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা মিলে তৈরি করেছেন একটি যৌথ মঞ্চ। নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য সংগ্রামের কথাও ভাবছেন মঞ্চের সদস্যরা।  মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরের লোধা স্মৃতি ভবনে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠকে বসে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া- এই ৪ জেলার শতাধিক পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি,'মাওবাদীরা খুন করে চাকরি পেয়ে গিয়েছে। আর আমাদের লোকেরা খুন হলেও আমরা চাকরি পাইনি। পাইনি সরকারি সাহায্যও। তাই মাওবাদীরা যে জঙ্গলের রাস্তা দেখিয়েছে সেই রাস্তাতেই হাঁটব।" ফলে বিধায়সভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা জঙ্গলমহলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


 

PREV
click me!

Recommended Stories

ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতের ব্যাটিং শুরু, সপ্তাহান্তে পারা পতনে কাঁপবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ
TMC-তে বড় ভাঙন! মমতার তুলোধোনা করে জঙ্গিপুরে তৃণমূল ছেড়ে মিমের পতাকাতলে ৫০ যুবক