সম্প্রতি ‘দলিত ভয়েস’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। এই ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে এক আদিবাসী মহিলাকে। তাঁর মুখে অর্ধেক দাঁত নেই। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন আর চোখে মুখে আতঙ্ক। 'দ্যা দলিত ভয়েসের কর্মীদের দেখে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
আট বছর ধরে বাড়ির পরিচারিকার অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে। কখনও গরম তাওয়া, লোহার রড দিয়ে মারধর, আবার কখনও মেঝেতে পড়ে থাকা প্রস্রাব জোর করে চাটানো। এমনই পৈশাচিক অত্যাচারের সাক্ষী থাকল ঝাড়খণ্ড। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদে সরব হন বিভিন্ন স্তরের মানুষ। মহিলা কমিশনের তরফে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি ‘দলিত ভয়েস’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। এই ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে এক আদিবাসী মহিলাকে। তাঁর মুখে অর্ধেক দাঁত নেই। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন আর চোখে মুখে আতঙ্ক। 'দ্যা দলিত ভয়েসের কর্মীদের দেখে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তা বলে উঠতে পারছেন না। এই দৃশ্য নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। দলিত ভয়েসের দাবি তাঁকে গরম তাওয়া এবং লোহার রড দিয়ে মারধর করা হত। অভিযোগ, জোর করে মেঝেতে পড়ে থাকা প্রস্রাবও তাঁকে দিয়ে চাটাতেন সীমা।
আরও পড়ুন - শাহ-এর বিরুদ্ধে সুর চড়াতেই ফের ইডির তলব! এনসিআরবি-এর তথ্য তুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে কটাক্ষ অভিষেকের
ঝাড়খণ্ডের বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য সীমা। তাঁর স্বামী মহেশ্বর একজন প্রাক্তন আইএএস আধিকারিক। একদিকে প্রধানমত্রীর ‘বেটি বচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানের এক সক্রিয় সদস্য। অপদিকে নিজের বাড়ির পরিচারিকার উপরই দীর্ঘদিন ধরে অমানুষিক অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছেন সীমা।
জানা যাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডেরই বাসিন্দা নির্যাতিতা। প্রায় ১০ বছর ধরে কাজ করছেন সীমারভ বাড়িতে।
গোটা ঘটনাটির পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজন হলে সীমাকে গ্রেফতার করার আবেদন জানানো হয়েছে মহিলা কমিশনের তরফে। ইতিমধ্যে সীমাকে সাসপেন্ড করেছে দল।
আরও পড়ুন - ভারতের পাক বধের ক্ষণে জাতীয় পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার জয় শাহ-র! ভাইরাল ভিডিও-তে চরম বিতর্ক