বুদ্ধদেব পাত্র, পুরুলিয়া-জঙ্গলের ভিতর খোলা আকাশের নীচে কালীপুজো। প্রাচীন কাল থেকেই এই পাহাড়ি কালীর আরাধনা হয়ে আসছে এই জঙ্গলের ভিতরেই। এখানে মা কালী পাহাড়ি কালী হিসেবে পূজিত হন। শনিবার কালীপুজোর দিন দূরদূরান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা।
আরও পড়ুন-বিহার নির্বাচনে পর বাংলায় 'এক্স ফেক্টর' AIMIM, তৃণমূলের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে কটাক্ষ দিলীপের
পুরুলিয়ার ঝালদা শহর লাগোয়া পাহাড়ের উপর জঙ্গল ঘেরা এই পাহাড়ি কালীর পুজো। কথিত আছে, একসময় এই জঙ্গলে ঘোড়ায় চেপে ঘুরে বেড়াতেন এই পাহাড় কালী। ওই জঙ্গল থেকে এখনও নাকি শোনা যায় নাগরার শব্দ। যদিও, সবই ভক্তদের বিশ্বাস। প্রাচীন কাল থেকে এই পাহাড়ি কালীর পুজো করে আসছেন পাহাড় লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। প্রতিবছর পুজো ধুমধাম করে হলেও এবছর করোনা আবহের কারনে তা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন উদ্য়োক্তারা।
আরও পড়ুন-আলোর উৎসবে প্রাণ কাড়ল বাংলার জওয়ানের, পাক সেনার গুলিতে শহিদ নদিয়ার সুবোধ
পুজো উদ্য়োক্তা কেদারনাথ পাণ্ডে জানান, এখানকার কালী পুজো বহু প্রাচীন। এই পাহাড়ি কালীর কোনও মন্দির নেই। প্রাচীন থেকে খোলা আকাশের নীচেই তিনি পুজিত হন। কালী মা এখানে জীবীত রূপেই আছেন বলে বিশ্বাস করেন ভক্তরা। পাহাডী মা বহু অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন বলে জানালেন পুজোর উদ্যোক্তারা। পাহাড়ি কালীর পুজো মা কালী রূপে পূজিত হলেও, উনি আসলে মা দূর্গার রূপ চণ্ডী। মায়ের কাছে ভক্তিভরে যে যা চায়, মা তা পূরণ করেন বলে জানালেন এখানকার বাসিন্দারা। শোনা যায়, প্রাচীন রাজাপরা দশ মহাবিদ্যার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই দশ মহাবিদ্যার মধ্য়েই এই পাহাড়ি কালির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।