১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে মঙ্গলারতি, দীপাবলীতে কালীরূপে পূজিতা হন দেবী নলাটেশ্বরী

  • শক্তির আরাধনের পীঠস্থান বীরভূম
  • জেলার অন্যতম শক্তিপীঠ নলাটেশ্বরীর মন্দির
  • দীপাবলীতে কালীরূপে পূজিতা হন দেবী
  • আলোকমালায় সেজে ওঠে মন্দির চত্বর
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 14, 2020 11:33 AM IST

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: শক্তির আরাধনার পীঠস্থান বীরভূম। কালীপুজোর দিন জেলার শক্তিপীঠ নলাটেশ্বরীর মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবীকে পুজো করা হয় কালী রূপে। ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে চলে আরতি, হয় হোম যজ্ঞ।

আরও পড়ুন: পিপিই কিট পরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুরোহিত, শুধু মিষ্টি নিয়েই মাকে পুজো

বীরভূম জেলার ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া শহর নলহাটি। এই শহরের পাথর শিল্পের খ্যাতি ভারতজোড়া। কথিত আছে, সতীর গলা নলি পড়েছিল নলহাটিতে। পরবর্তীকালে দেবী নলাটেশ্বরীর নামে শহরটির নামকরণ করা হয়। নলাটেশ্বরীর মন্দিরের পিছনে রয়েছে একটি মাজার। পুজোর চারদিন দুর্গা রূপে আর কালীপুজোর দিন কালী রূপে পুজিতা হন দেবী। মন্দিরের সেবাইত সমীর পণ্ডিত বলেন, 'দুর্গা পুজোর সময় শুধুমাত্র মায়ের নব পত্রিকা আনা হয় না। তাছাড়া পুজো চারদিন মায়ের সমস্ত আচার মেনে পুজো করা হয়। আর কালীপুজোর দিন সকালে মঙ্গলারতির পর শুরু হয় নিত্য়পূজো। রাতে ১০৮ প্রদীপ জ্বালিয়ে করা হয় বিশেষ আরতি।' নিশি অমাবস্যায় মন্দিরে চলে হোম যজ্ঞ। মাটির প্রদীপ, মোমবাতি আর এল ই ডি লাইটে ঝলমল করে মন্দির চত্বর।  মনের ইচ্ছা পূরণ করতে বলিদান করেন অনেকেই। 

আরও পড়ুন: শীলা রূপে আজও পূজিত হন পাহাড়ি কালী, পুরুলিয়ার জঙ্গলে জাগ্রত দেবীর আরাধনা

আগে পর্যন্ত কালীপুজোর দিন নলাটেশ্বরী মন্দিরে ভিড় সামলাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছিল পুলিশকে। তবে এবার পরিস্থিতি অন্যরকম। করোনা আতঙ্কের কারণে নলাটেশ্বরীর মন্দিরে বহিরাগত ভক্তদের ভিড় নেই বললেই চলে। যাঁরা মন্দিরে আসছেন, তাঁদের বেশিরভাগই স্থানীয় বাসিন্দা। মানত করে গিয়েছিলেন, এমন ভক্তও এসেছেন কয়েকজন।

Share this article
click me!