স্থানীয় কিছু মানুষ ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রাণে বাঁচতে স্কুলের একটি ঘরে আত্মগোপন করে থাকেন তিনি।কিন্তু সেইসময়ও তাঁর ওপর চড়াও হন অভিভাবকরা। পরিস্থিতি বেসামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। উর্দিধারীদের সামনে প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে সরব হন অভিভাবকরা।
দেশজুড়ে তোলপাড় হয়ে যাওয়া কর্নাটকের হিজাবকান্ডের (Karnataka Hijab Row) আঁচ এবার আছড়ে পড়লো ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শনিবার এই ঘটনায় জেলা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্কুলে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। পাশাপাশি জেলাশাসককে ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্থানীয় ছাত্রীদের স্কুলে হিজাব পরে না আসার কথা বলেছিলেন। তাতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুতির সরকার একটি স্কুল।
এদিন সুতির (Suti) স্থানীয় বহুতালী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অগ্নিদর্ভ হয়ে ওঠে। বহুতালি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক দীনবন্ধু মিত্র ছাত্রীদের হিজাব পরে স্কুলে না আসার কথা বলেন। তেমনই অভিযোগ অভিভাবকদের একাংশের দাবি। প্রধানশিক্ষকের নির্দেশের কথা বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের জানায় পড়ুয়ারা। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। তাঁরা স্কুলের সামনে পৌঁছন। এমন নির্দেশিকা জারি করায় প্রধানশিক্ষক দীনবন্ধু মিত্র কে ঘিরে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয়ে। ধীরে ধীরে অভিভাবকরা মারমুখী হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। তাঁকে একটি ঘরে আটকেও রাখা হয়। শুধু তাই নয় প্রধানশিক্ষক কোনরকমে বিদ্যালয় থেকে বেরোনোর চেষ্টা করলে তার ওপর আক্রমণ করে বিক্ষোভকারী।
এরপরে স্থানীয় কিছু মানুষ ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রাণে বাঁচতে স্কুলের একটি ঘরে আত্মগোপন করে থাকেন তিনি।কিন্তু সেইসময়ও তাঁর ওপর চড়াও হন অভিভাবকরা। পরিস্থিতি বেসামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। উর্দিধারীদের সামনে প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে সরব হন অভিভাবকরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পালটা শূন্যে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। এরপর এই তৃণমূলের বিধায়ক বিশ্বাস সেখানে পৌঁছান। এদিকে এই ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।
মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকায় যাতে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য রাতে মোতায়েন রাখা হয়েছে পুলিশ। এলাকায় টহলদারি রেপিড অ্যাকশন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
উডুপির কলেজে কয়েক জন মুসলিম ছাত্রী হিজাব পরে ক্লাস করা দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দেয়নি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তারা কলেজের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। তারই পাল্টা হিসেবে কয়েকজন হিন্দু পড়ুয়া গেরুয়া শাল বা ভাগবা গায়ে গিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়াতে তাকে। বর্তমানে তা একটি রাজনৈতিক আকার নিয়েছে। এখনও বিষয়টি রীতিমত উত্তেজনা প্রবণ রয়েছে।