বুদ্ধগয়া-খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ড, এবার আল কায়দা যোগে শিরোনামে মুর্শিদাবাদ

  • বুদ্ধগয়া থেকে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ড
  • জঙ্গি যোগে বারবার শিরোনামে উঠেছে মুর্শিদাবাদের নাম
  • জঙ্গিপুর, বেলডাঙা, লালগোলায় অভিযান এনআইএ-র
  • এবার আল কায়দা জঙ্গি যোগ মুর্শিদাবাদে

Asianet News Bangla | Published : Sep 21, 2020 12:25 PM IST / Updated: Sep 21 2020, 05:59 PM IST

ক্রমশ জঙ্গি যোগ স্পষ্ট হচ্ছে বাংলায়। তার কারন হল জঙ্গিদের গা ঢাকা দেওয়ার সহজপথ। যাকে অনায়াসে ব্যবহার করে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিচ্ছে জঙ্গিরা। পেটের টানে কাজের জন্য দক্ষিণের রাজ্য়ে পাড়ি দিচ্ছে এ রাজ্যের শ্রমিকরা। তাঁদের এই অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে মগজ ধোলাই করে জঙ্গি দলে যোগ করাচ্ছে মাস্টার মাইন্ডরা।

আরও পড়ুন-তারস্বরে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ, করোনা যোদ্ধাকে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ

বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ থেকে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ড। চাঞ্চল্যকর দুটি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে বারবার উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ জেলার নাম। বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে প্রথম নাম উঠে এসেছিল শামসেরগঞ্জের জামিরুল শেখ নামে একজন। সেই সূত্র ধরে পয়গম্বর শেখ নামে এক শিক্ষকও গ্রেফতার হয়। ওই মুর্শিদাবাদ এলাকা থেকেই। বুগ্ধগয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তকারীদের ধরপাকড় শুরু হতেই জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমানে বিস্ফোরক। 

অন্যদিকে, বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ড। পেশায় রাজমিস্ত্রী রেজাউল করিমের আসল বাড়ি ছিল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। পরে সে বর্ধমানের বাদশাহী রোডে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করে। খাগড়াগড়ের সেই বাড়িটিতেই বিস্ফোরণের জেরে দুই জনের মৃত্যু হয়। তদন্ত নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। ওই বাড়িতে বিস্ফোরণের পর থেকেই পলাতক ছিল রেজাউলল করিম। অবশেষে তাকে ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ।

আরও পড়ুন-স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য, খুনের অভিযোগ পরিবারের

খাগড়াগড় ও বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে মুর্শিদাবাদের জঙ্গি যোগে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাংলায়। এবার করোনা আবহের মধ্য়ে প্রকাশ্যে এল আল কায়দা জঙ্গি যোগ। জঙ্গি যোগে এনআইএ-র হাতে ধৃত ৬ জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ল্যাপটপ, বোমাইল, বোমা তৈরির স্কেচ। এছাড়াও, বিনা বাধায় জঙ্গি কাজ করার জন্য নিজেদের বাড়িতেই কুঠির তৈরি করে ফেলেছিল ধৃতরা।

আরও পড়ুন-প্রতিবেশী যুবকের প্রেমে 'অন্তস্বঃত্ত্বা' কিশোরী, মেয়েকে পিটিয়ে মারল বাবা

বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে বারবার মুর্শিদাবাদ উঠে আসছে কেন? কেনই বা বারবার তদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা, জঙ্গিপুর, শামসেরগঞ্জ এই সব জায়গায় অভিযান চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের মত, এ রাজ্যে সেরকম জঙ্গি কার্যকলাপ না হলেও বাংলাকে সেফ জোন হিসেবে ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। ওই জেলা জনবসতি পূর্ণ হওয়ায় জঙ্গিরা খুব সহজে গা ঢাকা দিতে পারে। জেলাটি বাংলাদেশ সীমান্ত এবং প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড সীমানা লাগোয়া।সেকারনে বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র সহ টাকার লেনদেনেও অনায়াসে করতে পারে জঙ্গিরা। সেকারনে  পাকিস্তানে বসে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি মডিউল তৈরির চেষ্টা করছে  জঙ্গি দলের মাস্টার মাইন্ডরা। 

Share this article
click me!