আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ নিয়ে উত্তাল রাজ্য। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব সারা রাজ্যের চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা। সাধারণ মানুষও প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।
চোখে-মুখে বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ নেই, এমনকী অনুতাপও নেই। এক মহিলা চিকিৎসকের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে খুনের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, সে নির্বিকার। পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার এই যুবককে গ্রেফতার করার পর জেরা শুরু করেছে পুলিশ। জেরায় অপরাধ ঘটানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। কিন্তু নৃশংস অপরাধ করার জন্য সে এতটুকুও লজ্জিত নয়। সারা দেশের মানুষ যে ঘটনার নিন্দা করছে, সেই ঘটনায় অভিযুক্ত দাবি করছে, তাকে ফাঁসি দেওয়া হলে হোক। সে এমন ভাব করছে, যেন কিছুই যায়-আসে না। এই যুবকের মানসিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্ত যুবক কীভাবে এতটা বেপরোয়া হল, সেটা নিয়েও চর্চা হচ্ছে। অভিযুক্তকে সাহায্য করার জন্য কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি আছেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
অপরাধপ্রবণতা ছিল অভিযুক্তর?
ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সে প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরত। এই যুবকের মা তাঁর ছেলেকে অপরাধী বলে মানতে রাজি না হলেও, প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, অভিযুক্ত বরাবরই উদ্ধত। সে বদমেজাজের জন্য পাড়ায় কুখ্যাত। ফলে এই যুবক ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ায় প্রতিবেশীরা খুব একটা অবাক নন। তদন্তকারীরাও মনে করছেন, ধৃত যুবক মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। তার মোবাইল ফোনে অনেক পর্ন ভিডিও আছে। বিকৃত মানসিকতা থেকেই সে অপরাধ ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
মহিলা চিকিৎসকের উপর নৃশংস অত্যাচার
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। শেষ রাতে অভিযুক্ত যুবক কীভাবে সেমিনার হলে পৌঁছল, সেই প্রশ্নও উঠছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
এক রাতে সব শেষ! পাত্র ডাক্তার, পরের বছরই বিয়ে হত আর.জি.কর হাসপাতালের নির্যাতিতা মহিলা ডাক্তারের!
আর.জি কর হাসপাতালের ঘটনায় জড়িত আগে থেকে চিনতেন নির্যাতিতাকে? ভয়ঙ্কর তথ্য পেল পুলিশ