
Jiban Krishna Saha News: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। জানা গিয়েছে, ইডির আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ নগর দায়রা আদালতের। আগামী শনিবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকতে হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে।
এদিন প্রথমবার সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। তিনি বলেন, ''গ্রেফতারের কারণ যাচাই করে দেখা উচিত। গ্রেফতারের আমি মক্কেল ৩ বার হাজিরা দিয়েছে। আমার স্ত্রীও হাজিরা দিয়েছেন। সব নথি জমা দিয়েছি। প্রত্যেকবার তদন্তে সহযোগিতা করা হয়েছে। দেড় বছর ধরে হাজিরা দিয়েছি। গ্রেফতারের এত তৎপরতা কি দেখা দরকার। জামিন চাইছি না। মামলা থেকে মুক্তি চাইছি।''
অন্যদিকে সোমবার আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, ''* প্রচুর লেনদেন হয়েছে স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্ট এ। নিজের ক্ষেত্রে বলছে বাবা গিফট করেছে। স্ত্রী বলছেন চাকরি করে আয় করা টাকা। তিনি পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। ড্রেনে মোবাইল ফেলে দেওয়া হয়েছিল। জীবনকৃষ্ণ মূল চক্রী। নগদে কিংবা ব্যাংক একাউন্ট এ টাকা জমা নেওয়া হয়েছে। স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টও টাকা জমা পড়েছে। বয়ান দিয়েছেন অনেকেই এই ব্যাপারে। এদিকে দুই পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারক বলেন, ''ইডি সব নিয়ম মেনে গ্রেফতার করেছে। তাঁরা ৬ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছে। সহযোগিতা করুন। তদন্ত চলুক। এটা খুব গুরুতর অপরাধ।''
জীবনকৃষ্ণ সাহার ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের হদিশ। ইডির অভিযোগ, ৪৬ লক্ষ টাকার অস্বচ্ছ আর্থিক লেনদেন। তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে ইডি তদন্তে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণ সাহার নামে মোট ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যেখান থেকে টাকা তোলা ও স্থানান্তর হয়েছে। ইডির দাবি, মোট ৪৬ লক্ষ টাকার লেনদেন ধরা পড়েছে। এর মধ্যে- ১ লক্ষ টাকা, ৮ লক্ষ টাকা, ১ লক্ষ টাকা, ১.৯৫ লক্ষ টাকা, ১২ লক্ষ টাকা (যার মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছিল), ১১.৫ লক্ষ টাকা, ২ লক্ষ টাকা। এই সমস্ত লেনদেন হয়েছিল ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এর মধ্যে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা জীবনকৃষ্ণ সাহার মেয়ে টগরীর অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। টগরীর আয়ের উৎস জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন এবং বেতন পান। তবে বিস্তারিত নথি দিতে পারেননি। ইডির জেরার মুখে টগরী পরে স্বীকার করেন যে, টাকা তাঁকে ‘বাবা’ দিয়েছেন। তদন্তে আরও উঠে এসেছে, জীবনকৃষ্ণ সাহার বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও টাকা স্থানান্তরের প্রমাণ মিলেছে। সাহার বাবার বক্তব্য, তিনি তাঁর ছেলেকে ওই টাকা উপহার হিসেবে দিয়েছেন এবং সম্পত্তিও গিফট করেছেন। ইডির দাবি, এই সমস্ত লেনদেনের সঠিক উৎস ও বৈধতা প্রমাণ করতে পারেননি জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর পরিবার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।