দু'দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। ফলে হতাশ হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু শনিবার রাতে সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই তাঁরা স্বস্তিতে। জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, 'অভয়া ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি। এই অপ্রিয় সত্য বেরিয়ে আসার ভয়েই কি স্বচ্ছতায় অনীহা? আমরা তোমার ন্যায়বিচার ছিনিয়ে নেব অভয়া, আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখো।' গত কয়েকদিন ধরে স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেও তাঁরা রাস্তায় বসে আছেন। অসংখ্য সাধারণ মানুষের সমর্থন ও সাহায্য পাচ্ছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় ভরসা।
সমালোচনা থামিয়ে দিল সিবিআই
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। কিন্তু তদন্ত চালিয়ে গেলেও, শনিবারের আগে পর্যন্ত ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর চাপ বাড়ছিল। বিভিন্ন মহল থেকে সিবিআই-এর সমালোচনা করা হচ্ছিল। রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকেও কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হচ্ছিল। এবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে মামলায় নতুন গতি আনল সিবিআই।
আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা
সন্দীপ গ্রেফতার হলেও, এখনই আন্দোলনের পথ থেকে সরে যাচ্ছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
অবশেষে আরজি করে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ-কাণ্ডে গ্রেফতার সন্দীপ, সিবিআই জালে টালা থানার প্রাক্তন ওসি
দেহ উদ্ধারের পর ফোনে কি বিশেষ কোনও নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ? সিবিআই-এর স্ক্যানারে ইন্টার্ণ চিকিৎসক