আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। ডিএ তাই দিতেই হবে। এরপর জল গড়িয়েছে বহু দূর। সরকারও জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের কর্মীরা কেন্দ্রের কর্মীদের হারে ডিএ চাইলে চলে না।
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ধর্মতলায় ধরনায় বসেছে ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’। এবার বড়সড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা এই মঞ্চের। বকেয়া ডিএ ও সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে ২ ঘন্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রবিবার সামবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবি করেন মঞ্চের সদস্যরা। তবে তারা জানিয়েছেন, কোনও জরুরি পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিকেও নজর থাকবে তাদের।
এই মঞ্চের রাজ্য কনভেনার ভাস্কর ঘোষ বলেন, “আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টো থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত সমস্ত সরকারি বিভাগ, সরকারি হাসপাতাল, সরকারি স্কুল, সমস্ত জায়গায় কর্মবিরতি পালিত হবে। এই মঞ্চ থেকে আমরা তার ডাক দিলাম। সমস্ত সরকারি বিভাগ এগিয়ে আসুক। তাতে কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।” উল্লেখ্য, ২৮টি সরকারি সংগঠনের কর্মীদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
এদিকে, আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। ডিএ তাই দিতেই হবে। এরপর জল গড়িয়েছে বহু দূর। সরকারও জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের কর্মীরা কেন্দ্রের কর্মীদের হারে ডিএ চাইলে চলে না। রাজ্যের কোনও ডিএ বাকিও নেই। তবে এতে জট কাটেনি। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার দাবি নিয়ে বিড়ম্বনায় রাজ্য সরকার।
দিন কয়েক আগে, সঠিক হারে ডিএ-র দাবিতে পথে নামেন সরকারি কর্মচারীরা। বিভিন্ন পেশার সরকারি ও আধা সরকারি দপ্তরের কর্মচারীরা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত মিছিল করেন এদিন। তাদের দাবি মানা না হলে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ করবেন বলে জানান তারা। বিভিন্ন পেশার ২৮টি সংগঠন এদিনের মিছিলে যোগদান করেন। পাশাপাশি এই মিছিল থেকে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিও তোলে সরকারি কর্মচারীরা।
আপাতত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় তিন শতাংশ হারে ডিএ পান। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৩৮ শতাংশ ডিএ পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএয়ের ফারাক ৩৫ শতাংশ। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবি, কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দিতে হবে।
মিছিলে পা মেলানো রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা জানান, মূলত দুটি দাবিতে মিছিল করা হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকারকে ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে ও পশ্চিমবঙ্গর সরকারি কর্মচারীদেরও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে। সেইসঙ্গে স্বচ্ছভাবে সমস্ত সরকারি শূন্যপদ পূরণের দাবিতে মিছিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।