চিঠিতে বিদ্বজনেরা বলেছেন, দুই পক্ষ যদি চায় তাহলে তাঁরাই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে টান। তবে সরকারি ও জুনিয়র ডাক্তাররা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
জুনিয়র ডাক্তার ও নবান্নর মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চেয়ে দুই পক্ষকেই ইমেল করলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা। দুই পক্ষকেই মেল করেছেন, অপর্ণা সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্য়ায়, রত্নাবলী রায় -সহ কয়েকজন বিদ্বজন। একই সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিও। এবার প্রশ্ন অপর্ণা সেনদের উদ্যোগে এবার কি রাজ্য প্রশাসন ও জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটবে।
আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অনশন আট দিনে পড়ছে। ইতিমধ্যেই তিন জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় দুই পক্ষকেই আলোচানায় বসাতে উদ্যোগ নিয়েছেন অপর্ণা সেন , সুজাত ভদ্র, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়রা। একদিকে তাঁরা যেমন চিঠি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টকে। অন্যদিকে তাঁরা চিঠি দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকেও। সেখানেই তাঁরা জানিয়েছেন, দুই পক্ষ যদি রাজি থাকে তাহলে তাঁরা অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হবেন। চিঠিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের সক্রিয়ার ওপর আস্থা রাখতে অনুরোধ করেছেন। অন্যোদিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন।
চিঠিতে বিদ্বজনেরা বলেছেন, দুই পক্ষ যদি চায় তাহলে তাঁরাই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে টান। তবে সরকারি ও জুনিয়র ডাক্তাররা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন রবিবার ৮ দিনে পড়ল। অনিকেত মাহাত, অলোক বর্মার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। তিনজনকেই ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। অনুষ্টুপের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর চিকিৎসা চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মূত্র ও মল দিয়ে পড়ছে। কিন্তু কোথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে চিকিৎসকদের। তৈরি হয়েছে একটি মেডিক্যাল বোর্ডও।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।