নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হামলার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার আর্জি জানিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতিও চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
রাজ্য তোলপাড় করা কান্ড ঘটালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ধর্নায় বসেছিলেন, সেখানেই ধর্নায় বসার আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। যদিও তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। উভয় পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আদালতের তরফ থেকে শর্তসাপেক্ষে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়।
কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে আগেই দলীয় কর্মীদের নিয়ে শুভেন্দুকে রাজভবনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। জানা যায়, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হামলার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার আর্জি জানিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতিও চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এই প্রসঙ্গে শনিবার রাতে নিজের সমাজমাধ্যমে শুভেন্দু লেখেন, মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আগামীকাল সকালে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত পরিবারের ৩০০ জনকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনের বাইরে ধর্নায় বসতে চলেছি। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি।
লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে দেড় মাস হতে চলল। এরপর থেকেই শিরোনামে রয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর থেকেই এই নিয়ে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে আক্রান্ত এবং ঘরছাড়া বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর সঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশি ‘বাধা’ পেয়েছিলেন তিনি। এবার রবিবার ঘটালেন এক বিরাট ‘কাণ্ড’!
উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশ মতো আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো অবধি নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত BJP সমর্থকদের নিয়ে ধর্নায় বসেন শুভেন্দু। জানা যাচ্ছে, দোষীদের শাস্তি এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবিতে এদিন ধর্নায় বসেন তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।