মঙ্গলবার কলকাতায় জোড়া কার্নিভাল। একটি পূজা কার্নিভাল। রেড রোডে। অন্যটি হল দ্রোহের কার্নিভাল। রানী রাসমনি রোডে। প্রথমটি সরকারি কর্মসূচি। দ্বিতীয়টি হল প্রতিবাদ, আন্দোলন। দ্বিতীয় কার্নিভালের জন্য পুলিশের কোনো অনুমতি নেই। বরং দ্রোহের কার্নিভাল ঠেকাতে মধ্য কলকাতার ৯টি জায়গায় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। রানী রাসমনি রোড ও আশপাশের কিছু এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। এবং কয়েক ঘন্টা পরে দুটি কার্নিভাল। বিকাল সাড়ে চারটা থেকে পূজা কার্নিভাল। বিকাল ৪টা থেকে দ্রোহের কার্নিভালের জন্য জমায়েত।
অন্যদিকে দ্রোহের কার্নিভাল ঠেকাতে পুলিশের তৎপরতাও দৃশ্যমান। রেড রোডের মতো ধর্মতলা মোড় থেকে রেড রোড, রানি রাসমনি রোড পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুরো এলাকায় কড়া নিরাপত্তা। রেড রোড ও রাণী রাসমনি রোডের একটি করে লেন ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধর্মতলা থেকে রানি রাসমনি রোড হয়ে নেতাজি মূর্তির দিকে ডান পাশের গলিতে বাসের সারি দাঁড়িয়ে আছে। বাস চালকদের দাবি, পুলিশ বাসগুলোকে এগোতে দিচ্ছে না।
পুলিশের এই ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে, 'আমরণ অনশনে' থাকা ধর্মান্ত পান্ডা বলেন, "এটি একটি পুরানো পদ্ধতি। যেকোনো শাসক দল আন্দোলন বন্ধ করার জন্য এটি করে। দেশে দ্রোহের কার্নিভাল বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন কাজে বাধা না দিয়ে ধর্মতলায় আসা মানুষগুলোকে ঠেকাতে পারছে না এই সব দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা কার্নিভাল হয় বন্ধ করা যাবে না.
পূজা কার্নিভালের জন্য বিকাল থেকেই রেড রোড সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন বড় পূজা কমিটির ভাসমান প্রতিমা নিয়ে ভিড় জমায়। কার্নিভালে অংশ নেওয়ার আগে ফ্লোটে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পুজোর মহাকুম্ভ শুরুর আগে রেড রোড মোড়কে আরও বেশি সাজানো হচ্ছে। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করছেন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।