বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডে পে লোডারের ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডল। তিনি বুধবার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। বিজেপি-র দাবি, কোনও অভিযোগ ছাড়াই বুধবার বিকেল চারটে থেকে রুবিকে বাঁশদ্রোণী থানায় বসিয়ে রাখা হয়। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে থানায় গিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি-র জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ছেন, রুবিকে যতক্ষণ না ছাড়া হবে ততক্ষণ তিনি থানায় বসে থাকবেন। বিজেপি-র দাবি, কিশোরের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের ছেড়ে দিয়ে প্রতিবাদীকে আটক করেছে পুলিশ।
কিশোরের মৃত্যুতে উত্তপ্ত বাঁশদ্রোণী
বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় নবম শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের দেখা পাওয়া যায়নি। রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু হয়। পাটুলি থানার ওসি-কে কাদাজলে আটকে রাখা হয়। লকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে ধরপাকড় শুরু করার নির্দেশ দেন।
সকাল থেকে কোথায় কাউন্সিলর?
বাঁশদ্রোণীতে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, তাঁকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে বা থানায় যাননি কাউন্সিলর। রুবি আটক হওয়ার পর থানার বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। থানার মধ্যে যা রূপা। বিজেপি-র দাবি, কাউন্সিলরের লোকজন ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'আমরা বিজেপি-র লোক,' বাঁশদ্রোণীতে পুলিশকর্মীদের উদ্ধারে গিয়ে দাবি শাসক দলের কর্মীদের