আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার বিচার চেয়ে আন্দোলনের মধ্যেই বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল পরিস্থিতি। বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ল পুলিশ।
রাজ্যের বিরোধীরা বারবার শাসক দলের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশের অভিযোগ করে। বুধবার বাঁশদ্রোণীর ঘটনায় ফের এই অভিযোগ উঠল। পে লোডারের ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকর্মীদের আটকে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করতে যান শাসক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তাঁরা স্থানীয় অঞ্চলে পরিচিত। বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দিয়ে পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে যান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। সাংবাদিকরা যখন তাঁদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন, তখন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, ‘আমরা বিজেপি-র লোক।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদেরও ধাক্কা দেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা ক্যামেরার লেন্সে হাত ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। নিজেদের পরিচয় আড়াল করতে ক্যামেরার নজর এড়িয়ে দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টাও করেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা।
বাঁশদ্রোণীতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড
বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ঘাতক পে লোডার ভাঙচুর করেন। পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। পুলিশকর্মীদের আটকে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে মহিলাদের ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে পুলিশকর্মীদের বাঁচাতে এগিয়ে যান শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা নিজেদের বিজেপি-র লোক বলে দাবি করলেও, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ।
গ্রেফতার বিজেপি মুখপাত্র
বাঁশদ্রোণীতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি মুখপাত্র রুবি মন্ডল। বিজেপি-র অভিযোগ, বুধবার বিকাল চারটে থেকে রুবিকে থানায় বসিয়ে রাখার পর তাঁকে কোনও কারণ ছাড়া অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানায় গিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, রুবিকে পুলিশ না ছাড়া পর্যন্ত থানায় থাকবেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-