
Suvendu Adhikari News: নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী! এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় প্রবেশ করতে চান তিনি (Suvendu Adhikari)। এই মর্মে আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে বিষয়টি জানিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমতি চেয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
সূত্রের খবর, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছিল রাজ্য সরকার। এরপরই শুভেন্দুকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, এরপর একুশের বিধানসভা ভোটে শুভেন্দু নন্দীগ্রাম থেকে জিতলে তার কেন্দ্রীয় বাহিনী বিধানসভা চত্বরে প্রবেশের অনুমতি প্রত্যাহার করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার নিরাপত্তার অভাবের কথা জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছেন তিনি।
এদিকে বিগত চারবছর ধরে বিধানসভা চত্বরে কোনওরকম নিরাপত্তাবাহিনী ছাড়াই ঘোরাফেরা করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা চত্বরের বাইরেই থাকেন তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। আর এবার বিধানসভার ভিতরে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশের অনুমতি চেলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court News) সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে বেশকিছু প্রশ্ন করে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চান যে, কেন বিধানসভা চত্বরে নিরাপত্তার দরকার?
বিচারপতি আরও জানতে চান, সেখানে মামলাকারীর উপর কোনও হামলার সম্ভাবনা রয়েছে কীনা। রাজ্য বিধানসভার ভিতরে কেন তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী চাইছেন সেটাও আগামী শুনানিতে স্পষ্ট করে জানাতে হবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের আগে পর্যন্ত তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন অন্যতম। কিন্তু তাঁর 'ফুল' বদলের পরই বদলে যায় সমীকরণ। শুভেন্দুর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে রাজ্য। তারপর তাঁকে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। আর এবার আধাসেনা নিয়ে বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এখন দেখার শুভেন্দুর এই মামলার জল কতদূর গড়ায়!
অন্যদিকে, দাড়িভিটকাণ্ডে বুধবার আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার শিকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। ঘটনার একবছর পার হয়ে গেলেও তদন্তে সেরকম কোনও রকম অগ্রগতি না হওয়ায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের রোষের মুখে পড়ল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, দাড়িভিটকাণ্ডের একবছর হয়ে গেলেও তদন্তে এখনও পর্যন্ত নেই কোনও অগ্ৰগতি। এখনও জমা পড়েনি কোনও তদন্ত রিপোর্ট। দাড়িভিট মামলায় হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। আগামী ৯ জুলাইয়ে মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে তদন্তের অগ্ৰগতি রিপোর্ট। এনআইএ-কে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ।
জানা গিয়েছে, বুধবার দাড়িভিট মামলায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে তাদের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, ‘’এনআইএ অফিসাররা কি নিজেদের আদালতের উর্ধ্বে ভাবছেন? এক বছর আগে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। একটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যদি এই ভূমিকা হয় তাহলে অফিসারদের তৈরি থাকতে বলুন। আদালত যথাযথ ব্যবস্থা নিতে জানে।''
প্রসঙ্গত,, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাই স্কুল। অবরোধ, লাঠিচার্জ, ইট-পাথর ছোড়া থেকে শুরু করে বোমা-গুলিও চলে বলে অভিযোগ। ওই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণ নামে দুই প্রাক্তন ছাত্রের। পরিবারের অভিযোগ ছিল, পুলিশেরর গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।