
Crime News: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক মহিলার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ। লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বিএসএফ কনস্টেবল। পুলিশ সূত্রে খবর, নাম পরিচয় বদল করে ওয়েবসাইটে মহিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করত অভিযুক্ত যুবক। কখনও বিয়ের প্রতিশ্রুতি আবার কখনও জমি ও গাড়ি কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখাতো সে। এরপরই মহিলাদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। একাধিক মহিলার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মোহাম্মদ নিষাদ আলী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের বাসিন্দা। পেশায় তিনি বিএসএফ কনস্টেবল। অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরেই নিউটাউনের সাপুরজি এলাকায় একইভাবে প্রতারণা করছিলেন বলে অভিযোগ। নিউ টাউনের টেকনোসিটি থানায় একাধিক মহিলা অভিযোগ দায়ের করলে। পুলিশ তদন্তে নেমে অবশেষে অভিযুক্ত BSF কনস্টেবলকে নিউটাউন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি ১২ বছর নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবারই পুলিশ হেফাজত চেয়ে অভিযুক্তকে বারাসাত আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে, ফের শহরে অবৈধ কলসেন্টার চালানোর অভিযোগ। পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ১৮। সাইবার অপরাধ রুখতে বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা সাইবার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে সাইবার থানার অধীনে একটি যৌথ অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাটগাছা এলাকায় জোড় ভীম রোডের একটি বহুতলের একতলায় অবস্থিত একটি অবৈধ কল সেন্টারে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে অভিযানে ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বাজেয়াপ্ত করা হয় ২৪টি মোবাইল ফোন, ২২টি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক, ২টি রাউটার এবং ৬টি হেডসেট। এছাড়াও কল লিস্ট, গ্রাহকের তথ্য, ডায়ালারের স্ক্রিনশট, রিমোট অ্যাক্সেস সফটওয়্যার সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এই চক্রের মূল অভিযুক্ত ওয়াদুদ আহমেদ এবং তার স্থানীয় সহযোগি মজিদকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এরপর তিলজলা থানার কুস্তিয়া রোডের ১বি/২৪ নম্বর ঠিকানায় অভিযুক্ত ওয়াদুদের সংস্থা ‘আলা ফ্যাশন’-এর অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে চুক্তিপত্র, ফ্ল্যাটের এগ্রিমেন্ট, শ্রমিক নিয়োগের চুক্তি, বিভিন্ন লিজ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত কাগজপত্র, চেকবই সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে সাইবার থানায় মামলা রুজু হয়েছে (GDE No. 400, যার অধীনে তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ধারা ৬৬, ৬৬সি, ৬৬ডি, ৮৪বি, ৪৩ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি ২০২৩-এর ধারাসমূহ ৬১(২)/৩১৯(২)/৩১৮(৪)/৩৩৬(২)/৩৩৬(৩)/৩৩৮/৩৪০(২) অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধৃতরা আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। এবং দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।