
SSC Recruitment News: অবশেষে উচ্চ প্রাথমিকে জট কাটল। উচ্চ প্রাথমিকে ১২৪১ জন চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করার নির্দেশ দিলে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৫ সালের উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৪,০৫২ টি শূন্যপদে নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
সূত্রের খবর, আটটি কাউন্সেলিংয়ের পরও ১২৪১ জন চাকরি পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট। গত বছরও এই ১২৪১ টি পদে নিয়োগের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। অভিযোগ, তারপরেও এসএসসি নিয়োগ করেনি। শুক্রবার সেই মামলাতেই ১২৪১ উচ্চ প্রাথমিক শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে, গত শনিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চিহ্নিত দাগি বা অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১৮০৬ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু যোগ্য প্রার্থীদের একাংশের দাবি আরও অনেক অযোগ্যকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এসএসসির প্রকাশ করা অযোগ্যদের তালিকা কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় সোমবার।
বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আইনজীবীরা আদালতে প্রশ্ন তোলেন, সিবিআই এর তালিকায় এর থেকেও অনেক বেশি অযোগ্যের নাম থাকলেও এসএসসির প্রকাশিত তালিকায় এত নাম কম কেন? বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এসএসসি কে জিজ্ঞাসা করেন সমস্ত অযোগ্যদের নাম তালিকায় রাখা হয়েছে কিনা এবং কোন অযোগ্য নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসার সুযোগ পায়নি তো?
তার উত্তরে এসএসসি-এর আইনজীবী আদালতকে জানান, কোনও অযোগ্য তালিকা থেকে বাদ পড়েননি। এবং কোনও অযোগ্য পরীক্ষায় যাতে বসতে না পারে সেই দিকে সতর্ক এসএসসি।
অযোগ্যদের তালিকায় এত নাম কম কেন? তার উত্তরে কমিশনের আইনজীবী প্রীতিকা দ্বিবেদি জানান, সিবিআই এর সেই তালিকার সবাইকে নিয়োগ করা হয়নি। যারা নিযুক্ত হয়েছিল, কমিশন প্রকাশিত তালিকায় শুধু তাদের নামই আছে, যারা নিযুক্তদের মধ্যে দাগি।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট আবারও কমিশনকে বলেন, কোনও অযোগ্য যেন পরীক্ষায় বসতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে। তার উত্তরে কমিশনের আইনজীবী আদালতকে জানান, কমিশন সেদিকে নজর রাখছে। দাগি অযোগ্যদের অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।