মামলা উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টেক প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আট বছর আগে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও রমরমিয়ে এদেশে ব্যবসা করছেন এক বাংলাদেশী। শুধু ব্যবসাই নয়, এদেশ থেকে বিদেশে টাকাও পাঠাচ্ছিল চোরা পথে টাকা পাঠাচ্ছিল বলেও অভিযোগ। অভিযুক্ত বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে প্রিভেনশনস অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের ধারা যুক্ত করে ইডির হাতে তদন্তের ভার তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এই মামলা উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টেক প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম উমা শঙ্কর আগরওয়াল।
তদন্তে জানা গিয়েছে, এই রাজ্যে সানথোলিয়া আগরওয়াল গ্রুপ নামে একটি কোম্পানি রয়েছে বাংলাদেশের বাসিন্দা উমাশঙ্কর আগরওয়ালের। অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই সেই সংস্থা বাংলাদেশ থেকে এনে প্রচুর প্রচুর টাকা এই রাজ্যে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে। মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তাতেই আর্থিক দুর্নীতির বিষয় রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রয়োজনে তদন্তের ভার ইডির হাতে তুলে দেওয়ার কথাও বলেছে।
এই মামলায় অবিলম্বে আর্থিক তছরুরের ধারা যুক্ত করতে হবে বলেও আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী। তাঁর দাবি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন ও চোরা কারবারিরা এই অর্থের উপকৃত হতে পারে। আইনজীবী জানিয়েছেন, উমা শঙ্কর আগরওয়ালের বিরুদ্ধে কলতাতা পুলিশআগেই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল। উমাশঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি জামিনে খাসাল পেয়ে গিয়েছে।
তবে অভিযুক্ত উমাশঙ্কর জানিয়েছে, তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রের খবর উমাশঙ্করের বাংলাদেষেক পাসপোর্ট রয়েছে। ২০১৬ সালে তাঁর ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এই দেশেরয়েছেন উমাশঙ্কর।