আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের খুন আর ধর্ষণের তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রথম থেকেই সিবিআই প্রশ্ন তুলেছে।
আরজি কর হাসপাতালকাণ্ডের ময়না তদন্তকারী তিন চিকিৎসকের বয়ান থেকে একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট তৈরি করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর সেই রিপোর্টের পাশাপাশি নিহত তরুণীর শরীর থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তা নিয়েও একটি নতুন রিপোর্ট পাঠান হয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।
আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের খুন আর ধর্ষণের তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রথম থেকেই সিবিআই প্রশ্ন তুলেছে। ময়না তদন্তের যে রিপোর্ট সিবিআই-এর হাতে গেছে তা আরও ভাল করে পরীক্ষার জন্য দিল্লি আর কল্যাণী এমসের ফরেন্সিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করেছে সিবিআই। ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফির ছবি এতটাই অস্পষ্ট যে তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সিবিআই। সমস্যা মেটাতে আরজি করের মৃতার ময়না তদন্ত যে তিন ডাক্তার করেছিলেন তাদের একাধিকবার তলব করা হয়েছে। তাঁদের বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই রিপোর্ট তৈরি করেছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর তরুণীর চিকিৎসকের শরীরের বাইরে ও ভিতরে একাধিক আঘাতের উল্লেখ রয়েছে। তা নিয়ে তিন চিকিৎসকের ব্যাখ্যা আলাদা আলাদা করে নথিভুক্ত করেছে। ময়না তদন্তের দুই দিন পরে নমুনাগুলি কেন ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে সিবিআই-এর। কারণ নিয়ম অনুযায়ী নমুনাগুলি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গেই পুলিশ নিয়ে যায়, তা ফরেন্সিকে পাঠান হয়। এক্ষেত্রে নমুনাগুলি প্রায় দুই দিন আরজি করের মর্গে ফেলে রাখা হয়েছিল। এটি গফিলতি না ইচ্ছেকৃতভুল না অন্য কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে- তাও পাশাপাশি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের বয়ানও তারা এই বিষয়ে আলাদা আলাদা করে নিয়েছে।
সিবিআই-এর অন্য প্রশ্ন কেন তড়িঘড়ি করে বিকেল চারটের পরে ময়না তদন্ত করা হল। সাধারণত সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে ময়না তদন্ত করা হয় না। কিন্তু এই বিষয়ে সন্দীপ ঘোষ ও আরজি কর কতৃপক্ষ যে কথা বলছে তা যুক্তিযুক্ত নয় বলেও সিবিআই -এর তদন্তকারী কর্তাদের অভিমত। গোটা ব্যাপারটাতেই তারা বড় ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছে। ময়না তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস ৯ অগস্ট সন্দীপ ঘোষের ঘরে বার বার কেন গিয়েছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরও সিবিআই খুঁজছে। সে জন্য তাঁকে বার বার তলব করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ময়না তদন্ত শুরুর আগে প্রায় এক ঘণ্টা সন্দীপের ঘরে বসেছিলেন অপূর্ব। সন্ধ্যায় ময়না তদন্ত শেষ হতেই ফের তিনি যান ওই ঘরে। আধ ঘণ্টা পরে ফিরে এসে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করেন। এর পরে ফের সন্দীপের ঘরে গিয়ে ঘণ্টা দেড়েক বসে ছিলেন অপূর্ব। কেন? কোনও চাপ কি ছিল ফরেন্সিক মেডিসিনের ওই চিকিৎসকের উপর? কে চাপ দিয়েছিল?
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।