বৃহস্পতিবার আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়।
আরজি কর হাসপাতালের চার দেওয়ালের মধ্যে ৮ আগস্ট রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? এখন এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে সকলে। চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনার রহস্যভেদ করতে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। মামলা গিয়ে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়। সন্দীপ ও অভিজিৎকে আদালতে তোলা হলে তুমুল হইহট্টগোল শুরু হয়। আইনজীবীদের তরফে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি এই দু'জনের কঠিন শাস্তির দাবি করা হয়। যদিও কোর্টে এদিন সিবিআই নিজেদের হেফাজত রাখার আবেদন করেনি। গোয়েন্দারা বরং আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই দু'জনকে জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানান। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে লাগাতার অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এই সূত্রের নাম উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারিবারিক চিকিৎসক শ্যামাপ্রসাদ দাসের। যদিও তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং যে 'উত্তরবঙ্গ লবি'-র কথা এই ঘটনায় বারবার উঠে আসছে। তিনি বলেছেন, এর সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। তবে ঘটনার দিন অভীকের সঙ্গে ফোনে তাঁর বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। সঙ্গে বিরূপাক্ষকে তিনি চিনতেন না বলেই জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরবর্তী শুনানির পর খুব সম্ভবত এই শ্যামাপ্রসাদ দাস ওরফে এসপি দাসকে তলব করতে পারে সিবিআই।
বৃহস্পতিবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক। আদালতের তরফে স্পষ্ট বলা হল, সন্দীপ ও অভিজিৎ যে ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাতে এই দু'জনের সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।