সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সিবিআই জনসাধারণের কাছে আবেদন করেছে যে এই ঘটনার বিষয়ে কারও কাছে কোনও তথ্য থাকলে দয়া করে সিবিআই কর্মকর্তাদের জানান।
হাইকোর্টের নির্দেশে আরজিকর মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানেই চলছে এই তদন্ত প্রক্রিয়া। আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ মোট চারজনকে আটক করেছে সিবিআই। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে, আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মূলে কারা তা খুঁজে বের করার জন্য একটি জোরালো তদন্ত শুরু করেছে৷
এদিকে গোটা রাজ্য-তথা গোটা বিশ্ব যখন আরজি কর মামলায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ক্রমাগত আওয়াজ তুলেছে, তখন সিবিআই এখনও খুনের সূত্র খুঁজছে। অনেককে কয়েকবার প্রশ্ন করা হয়েছে, আরজিকর হাসপাতালের চতুর্থ তলায় সেমিনার ঘরের পরিদর্শন, এফএ সেল রিপোর্ট, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট সবই এসেছে। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রের পরেও আরজি কর মামলায় এখনও খুনিকে ধরতে পারেনি সিবিআই। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সিবিআই জনসাধারণের কাছে আবেদন করেছে যে এই ঘটনার বিষয়ে কারও কাছে কোনও তথ্য থাকলে দয়া করে সিবিআই কর্মকর্তাদের জানান। যাতে এই ঘটনার তদন্তে সিবিআই দ্রুত শেষ করতে পারে।
একথা মাথায় রেখে রবিবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির ঠিক আগে জনসাধারণ আদালতে মাথা নত করে বার্তাটি চারদিকে ছড়িয়ে দিয়ে সাহায্য চেয়েছিল। সেই রাতে আরজি কর হাসপাতালের তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণের ঘটনায় অপরিচিত কেউ গোপনে সিজিও কমপ্লেক্সে কোনও তথ্য দেয় কিনা সেটাই এখন দেখার। রাজ্যের শাসক দল ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গ তুলতে শুরু করেছে যে সিবিআই তদন্তে শিথিলতা করছে। কলকাতা পুলিশ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করেছিল, কিন্তু সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পরে, কাউকে গ্রেপ্তার করতে অনেক সময় লাগাচ্ছে এবং জনসাধারণের মধ্যেও কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।
আন্দোলনরত ছাত্র চিকিৎসকরা ইতিমধ্যেই সিবিআই অফিসে পৌঁছে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে মানুষের স্লোগান 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস', সিবিআই বাংলায় আরজি কর মামলার ক্লু পেতে আমজনতা দরবারে আবেদন করেছে।