আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বিচার না পাওয়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি আন্দোলনে নেমেছেন রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও), সিনিয়র রেসিডেন্ট (এসআর) চিকিৎসকরাও। এবার তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠাল স্বাস্থ্য ভবন। রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের আরএমও, এসআর-দের নাম, ফোন নাম্বার, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, আধার কার্ড, প্যান কার্ড জমা দিতে হবে। এছাড়া আরএমও, এসআর-দের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিও চেয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। আরএমও, এসআর-রা হাসপাতালের বাইরে অন্য কোথাও রোগী দেখেন কি না, সে বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন। কোথাও অসঙ্গতি বা অনিয়ম আছে কি না, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবনের এই নির্দেশিকার ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে আন্দোলন, কর্মবিরতি চলছে, তখন হঠাৎ কেন আরএমও, এসআর-দের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য সরকার আন্দোলন দমন করার লক্ষ্যেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বাস্থ্য ভবনের বিরুদ্ধে সরব চিকিৎসকরা
স্বাস্থ্য ভবনে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের প্রভাবের কথা জানা গিয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত স্বাস্থ্য ভবনেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন সন্দীপ। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সন্দীপের প্রভাব রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদের সংগঠনের দাবি, আন্দোলন দমন করার লক্ষ্যেই স্বাস্থ্য ভবন নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে।
আন্দোলন চালিয়ে যাবেন চিকিৎসকরা
স্বাস্থ্য ভবন নতুন নির্দেশিকা জারি করলেও, চিকিৎসকরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। রাজ্য সরকার চাপ তৈরি করলেও, তাতে গুরুত্ব দিচ্ছেন না আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। তাঁরা পিছু হঠতে নারাজ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'সারা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন,' আর জি করের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন আরএসএস প্রধান
'আমার বোনের দোষীরা তো এখনও সাজা পেল না!' আর জি করের পাশে হাথরসের পরিবার