সোমবার দুপুরে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে শিয়ালদহ আদালতে কড়া নিরাপত্তায় নিয়ে আসা হয়েছিল সঞ্জয় রায়কে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি চলছে।
আরজি কর হত্যাকাণ্ডের একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ। এবার শুরু বিচার প্রক্রিয়া। গামী ১১ নভেম্বর থেকে রোজ এই মমলার শুনানি চলবে। সিবিআই-এর চার্জশিট অনুযায়ী আরজি করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বাকি তথ্য প্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত।
সোমবার দুপুরে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে শিয়ালদহ আদালতে কড়া নিরাপত্তায় নিয়ে আসা হয়েছিল সঞ্জয় রায়কে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি চলছে। আর আগে এই চার্জ গঠন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। অন্যদিকে এদিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের আর্থিক তছরুপের ঘটনার শুনানি চলছে আলিপুরের সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় রয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৎকালীন সুপার সন্দীপ ঘোষ। তিনিও বর্তমানে জেলবন্দি।
আরজি কর হত্যাকণ্ডের ৮৭ দিনের মাথায় চার্জ গঠন করা হল। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের দ্রুত শুনানির দাবিতে জানিয়েছে অনেকেই । দোষীদের কড়া শাস্তিরও দাবি উঠেছে। এই অবস্থায় শিয়ালদহ আদালত আগামী ১১ নভেম্বর, অর্থাৎ আগামী সোমবার থেকে প্রতিদিন শুনানির কথা বলেছে। ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ। প্রথমে মামলার তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তের ভার যায় সিবিআই এর হাতে। আরজি কর হত্যাকাণ্ড ও আর্থিক তছরুপের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও। পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে তাকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। সিবিআই আঙুল তুলেছে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের দিকেও। কিন্তু উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে সব অভিযোগ প্রমাণ করতে সমস্যায় পড়ছে সিবিআই।