আরজি কর কাণ্ডের চার্জশিটে সঞ্জয়ের রায়ের বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ সিবিআই-এর, দেখুন ছবিতে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে প্রথম চার্জশিট পেশে করেছে সিবিআই। চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

আরজি কর কাণ্ডে চার্জশিট

আরজি কর কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তারে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। রয়েছে ১১টি অভিযোগ

সিবিআই-এর চার্জশিটে দাবি

সিবিআই চার্জশিটে বলা হয়েছে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ই আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ করেছে। তার প্রমাণ রয়েছে তাদের হতে। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগগুলি রয়েছে সেগুলি হল-

অভিযোগ ১

সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই জানা গিয়েছে, গত ৮ অগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় গিয়েছিলেন ধৃত।

অভিযোগ ২

অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার যে ওই রাতে আরজি কর হাসপাতালেই ছিলেন, তা তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন থেকেও জানা গিয়েছে।

অভিযোগ ৩

ময়নাতদন্তের সময় মৃতার দেহ থেকে ধৃতের ডিএনএ মিলেছে।

অভিযোগ ৪

ধৃতের যে প্যান্ট এবং জুতো পুলিশ উদ্ধার করেছিল, তা থেকে মৃতার রক্তের দাগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ ৫

ঘটনাস্থল থেকে যে ছোট ছোট চুল পাওয়া গিয়েছিল, তা অভিযুক্তের চুলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

অভিযোগ ৬

ঘটনাস্থল থেকে যে ব্লুটুথ ইয়ারফোন উদ্ধার হয়েছিল, তা ধৃতের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ফোনের সঙ্গেই যুক্ত ছিল। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গিয়েছে সঞ্জয় যখন সেমিনার হলের দিকে গিয়েছিল সেই সময় হেডফোন ছিল যখন ফিরছিল সেই সময় ছিল না।

অভিযোগ ৭

ধৃতের শরীর থেকে যে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল তা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষার ২৪ থেকে ৪৮ ‌ঘণ্টা আগে সেই ক্ষত তৈরি হয়েছিল। যার অর্থ ৮-৯ আগস্ট রাতের মধ্যেই সেই ক্ষত তৈরি হয়েছে।

অভিযোগ ৮

অভিযুক্তের শরীরে যে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে, সেগুলি নির্যাতিতার প্রতিরোধের ফলেই তৈরি হয়েছিল। চার্জশিটে দাবি সিবিআই-এর।

অভিযোগ ৯

অভিযুক্তের মেডিক্যাল পরীক্ষা থেকে এ রকম কোনও প্রমাণ মেলেনি যে, তিনি সঙ্গমে অক্ষম।

অভিযোগ ১০

সিএফএসএল কলকাতার রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতা যে কুর্তি পরেছিলেন, কোমরের কাছে সেই কুর্তির দু’পাশটা ছিঁড়ে গিয়েছিল। তা টানাহেঁচড়ার কারণেই হয়েছে।