
সোমবার কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তৃতীয় দিনে পড়ল। এদিনও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অভিযোগ, অনশন মঞ্চে ব্যবহার করার জন্য চৌকি ও প্লাস্টিকের চেয়ার আনা হচ্ছিল। সেসব বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সে কথা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বউবাজার থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ফলে বউবাজার থানার সামনে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়। থানার বাইরে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর তাঁরা থানার মূল গেটের সামনে অবস্থান শুরু করে দেন।
চৌকি নিয়ে কেন সমস্যা?
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অনশন মঞ্চে লাগবে বলে কিছু চৌকি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু অনশন মঞ্চে পৌঁছনোর আগেই পুলিশ চৌকিবোঝাই রিকশা আটকে দেয়। মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছোয়নি চৌকি। এ ছাড়াও কিছু প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেগুলিও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। পাল্টা পুলিশের দাবি, যে রাস্তা দিয়ে চৌকি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেখানে রিকশা চালানোর অনুমতি নেই। এই কারণেই বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা তৈরি হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
১০ দফা দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার রাতে আমরণ অনশন শুরু হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বাধা দেওয়া, বায়ো টয়লেট বসানোর ক্ষেত্রে আপত্তি, ডেকরেটরদের গাড়ি যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার এই আন্দোলনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে পুলিশ ঠিক কী ব্যবস্থা নেবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বাড়ির পুজো বন্ধ, মেয়ের বিচারের দাবিতে ষষ্ঠী থেকে ধর্নায় আর জি করে নির্যাতিতার পরিবার
জুনিয়রদের পাশে সিনিয়ররা, সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এবার অনশনে বসার হুমকি প্রবীণ ডাক্তারদের