ডিএ, নতুন নিয়োগ না ছাঁটাই? মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা দফতরের চিঠিতে কী ইঙ্গিত?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠি ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

রাজ্য সরকারের কোন দফতরে কত কর্মী আছেন, সেটা জানতে চেয়েই চিঠি দিয়েছে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর।

রাজ্য সরকারের দফতরগুলিতে লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সেকশন অফিসার পদে বর্তমানে মোট কতজন কর্মরত, সেটা জানতে চেয়েই চিঠি দেওয়া হয়েছে।

কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের পক্ষ থেকে চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি মাসের মধ্যেই সব বিভাগের কর্মীর সংখ্যা জানাতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগে নতুন কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছেন কি না, সে বিষয়ে এখন জল্পনা চলছে।

রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মী নিয়োগের বদলে ছাঁটাই করা হবে কি না, সে বিষয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে মামলা করেছেন। সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীরা এখন ১৪ শতাংশৎ মহার্ঘভাতা পাচ্ছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা ৫৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা পাচ্ছেন।

সুপ্রিম কোর্টে মামলায় রাজ্য সরকার হেরে গেলে কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতেই হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার জয় পেলেও কি বর্ধিত হারে মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে?

পশ্চিমবঙ্গে কোষাগারের অবস্থা বিশেষ ভালো নয়। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট যদি বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়, তাহলে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ কী হবে, সে বিষয়ে জল্পনা চলছে।