'বডি নিয়ে শিগগিরি...'! ফোনে চিৎকার করে বলেছিলেন খোদ সন্দীপ ঘোষ! বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস

Published : Jan 24, 2025, 11:18 AM IST

আরজি কর কাণ্ডের দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। কিন্তু তিলোত্তমার বাবা-মা থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব,সহকর্মী সকলেই শুরু থেকে দাবি করে আসছেন তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য সঞ্জয় একা নয়, দায়ী আরও অনেকে। এই আবহেই ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এল।

PREV
114

সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করার পর ইতিমধ্যেই তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। যদিও তিলোত্তমার বাবা-মা থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব,সহকর্মী সকলেই শুরু থেকে দাবি করে আসছেন তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে।

214

তারা এখনো বিশ্বাস করেন এই ঘটনার জন্য সঞ্জয় একা নয়, দায়ী আরও অনেকে।

314

শিয়ালদহ আদালতের বিচারকের নির্দেশনামার নানা অংশ থেকে সেই সন্দেহ আরো জোরালো হয়ে উঠেছে।

414

নির্দেশনামার ৩২ নম্বর পাতায় দেখা গিয়েছে আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যাল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুমিত তপাদার সাক্ষ্যদানের সময় জানিয়েছেন তরুণীর দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তিনি তড়িঘড়ি ফোন করেছিলেন আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে।

514

সন্দীপ ফোন না তোলায় তিনি মেসেজে লিখেছিলেন, ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ৫ মিনিটের মধ্যে ফোন করুন’। সুমিতকে সন্দীপ কলব্যাক করেন।

614

তারপর ঝামেলা এড়াতে নির্যাতিতার দেহ দ্রুত মৃতদেহ মর্গে পাঠাতে বলেছিলেন সন্দীপ। বয়ানে এমনটাই জানিয়েছেন ওই সাক্ষী।

714

যদিও সেইসময় তিনি সন্দীপকে জানান ইতিমধ্যে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তদন্ত ছাড়া দেহ মর্গে পাঠানো যাবে না।

814

আইনজীবী সাব্বির আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, পুলিশ যতক্ষণ না তদন্ত করছে, ততক্ষণ ডেডবডি মর্গে পাঠানো যাবে না। এটা প্রমাণ হিসেবে রয়েছে। জজসাহেব এটা রেকর্ডও করেছেন।’

914

চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক প্রধানের প্রথম প্রতিক্রিয়া যা হওয়া উচিত ছিল তার সঙ্গে এটা মানানসই নয়। মেয়েটি বেঁচে আছে কিনা, বাঁচানোর সুযোগ আছে কিনা সেই চেষ্টা করা উচিত ছিল। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া উচিত। পুলিশ ঠিক করবে দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা।’

1014

তিলোত্তমার বাবা অভিযোগ করেছিলেন ৯ আগস্ট সকালে আর আরজি কর (RG Kar Case) মেডিকেল কলেজের এক এসিস্ট্যান্ট সুপার তাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর তাঁদের মেয়েকে শেষবারের মতো তাঁদের দেখতেও দেওয়া হয়নি।

1114

ফোনের কথোপকথনে যে রেকর্ড সামনে এসেছে সেখানে নির্যাতিতার বাবাকে তখন নাকি বারবার বলা হয়েছিল, ‘আপনার মেয়ে … উনি সুইসাইড করেছেন হয়তো। মারা গেছেন। পুলিশ রয়েছে, আমরা সবাই হাসপাতালের সামনেই রয়েছি। আপনারা যতটা তাড়াতাড়ি পারবেন চলে আসুন।’

1214

আদালতে মামলা (RG Kar Case) চলাকালী অ্যানাটমি বিশেষজ্ঞ অপূর্ব বিশ্বাস সাক্ষ্য দানের সময় জানিয়েছিলেন, ‘মৃতদেহ বিকেল পাঁচটা দশ মিনিটে মর্গে পৌঁছেছিল। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও টালা থানার বিশেষ অনুমতিতে করা হয়েছিল ময়নাতদন্ত’।

1314

নির্দেশ নামার ২৩ নম্বর পাতায় নিহত তরুণী চিকিৎসকের পারিবারিক বন্ধুর বয়ানে বলা হয়েছে তড়িঘড়ি শেষকৃত্য খুবই সন্দেহজনক এবং মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে গিয়ে আর্থিক সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেন যা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিলোত্তমার পরিবার।

1414

সে সময় নির্যাতিতার বাবা-মা জানিয়েছিলেন তাঁদের মেয়ের দেহ কার্যত হাইজ্যাক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তড়িঘড়ি শেষকৃত্য করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরাও।

click me!

Recommended Stories