পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হত্যাকাণ্ডটি হাসপাতালের ভিতরেই ঘটেছে এবং হত্যাকারী হাসপাতালেরই কোনও কর্মচারী হতে পারে। কারণ সেমিনার হলে বাইরের কারোর প্রবেশাধিকার নেই।
আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণ ও হত্যার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফরেনসিক টিম জানিয়েছেন, ঠোঁটে, গালে, গলায় মার্ক রয়েছে। দেহ চিৎ অবস্থায় শোয়ানো ছিল। "আমরা যখন গিয়েছিলাম, দেহ পুরো ঢাকা অবস্থায় ছিল। এটা বাইরের কেউ নয়, চেনা লোকেরই কাজ, কারণ দেহ সেমিনার হলে ছিল। ওয়ার্ড অনেকটাই দূরে। সেমিনার হলে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারে না।"
তবে ফরেনসিক কর্তা স্পষ্ট করেছেন যে, দেহে পোশাক ছিল কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না কারণ দেহ চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল।
পুলিশের অনুমান:
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হত্যাকাণ্ডটি হাসপাতালের ভিতরেই ঘটেছে এবং হত্যাকারী হাসপাতালেরই কোনও কর্মচারী হতে পারে। কারণ সেমিনার হলে বাইরের কারোর প্রবেশাধিকার নেই।
তদন্ত:
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যাবে।
প্রশ্ন:
হত্যাকারী কে? হাসপাতালের ভিতরে ঘটনাটি ঘটলে হত্যাকারী হাসপাতালেরই কোনও কর্মচারী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্য কী ছিল? হত্যাকারীর উদ্দেশ্য এখনও অস্পষ্ট।
অন্য কোনও প্রমাণ: পুলিশ আরও কিছু প্রমাণ খুঁজে পেতে পারে যা এই ঘটনার রহস্য উন্মোচনে সাহায্য করবে।
আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু রহস্যময় ঘটনা। এই ঘটনায় সারা রাজ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনার তদন্ত করছেন। আশা করা যায়, শীঘ্রই এই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে।
আরজিকর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই আটক করা হয় তাকে। ধৃতের নাম সঞ্জয় রায় বলে জানা গিয়েছে। সেমিনার হলের দায়িত্বে থাকা চুক্তি ভিত্তিক কর্মী সঞ্জয়। রাতভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।