
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সোমবার বলেছেন যে আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাজ্যের মানুষ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তাঁর ঘন ঘন সফর এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে রাজ্যে দলের ভিত্তি শক্তিশালী করা এবং কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর কৃতিত্ব দিয়েছেন।
অমিত শাহের পশ্চিমবঙ্গ সফর নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারাবাহিক সম্পৃক্ততা এবং নেতৃত্বের কারণে রাজ্যে বিজেপি ধীরে ধীরে তার উপস্থিতি শক্তিশালী করেছে। তিনি আরও বলেন, কঠিন সময়ে দলীয় কর্মীদের উৎসাহিত করতে শাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ঘোষ বলেন, "এবারের বাংলার নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার মানুষ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। অমিত শাহের জন্যই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে। যখনই কিছু ঘটেছে, তিনি এখানে এসেছেন, মানুষকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং উৎসাহিত করেছেন। আর এখন, যখন নির্বাচন শুরু হতে চলেছে, অমিত শাহ আবার এখানে এসেছেন দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করতে।"
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সফরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে একটি সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। এরপর দলের কোর কমিটির সঙ্গে ২০২৬-এর রূপরেখা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। ওইদিন রাতেই কলকাতায় সঙ্ঘ (RSS) নেতৃত্বের সঙ্গে কো-অর্ডিনেশন বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় সমবায়মন্ত্রী।
সফরের শেষ দিন, ৩১ ডিসেম্বর (বুধবার) সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে কলকাতা পুরনিগম এলাকার বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন শাহ। পাশাপাশি রাজ্যের বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গেও তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। সাংগঠনিক বৈঠকের পাশাপাশি বেশ কিছু জনসংযোগ ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচিও রয়েছে তাঁর। বুধবার গিরিশ ঘোষের (Girish Ghosh) মূর্তিতে মাল্যদান এবং সিস্টার নিবেদিতার বাড়ি যাওয়ার কথা রয়েছে শাহের। এছাড়াও তাঁর ইসকন মন্দিরে যাওয়ার কথাও রয়েছে। তিন দিনের ব্যস্ত সফর শেষে ৩১ ডিসেম্বর রাতেই দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর ঘন কুয়াশার কারণে নদীয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার নামতে পারেনি। ফলে সভা বাতিল করে কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই অডিয়ো বার্তা দিয়ে ফিরে যেতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। সেই ঘটনার ঠিক দশ দিনের মাথায় অমিত শাহের এই আগমন রাজ্য বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছে নেতৃত্ব। SIR শুনানি, ভোটার তালিকা বিতর্ক এবং ‘মিশন ২৬’- এই তিন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ রাজ্য নেতাদের কী বার্তা দেন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে বঙ্গ রাজনীতি।