আরজি কর হত্যাকাণ্ডের ১৪ দিন পরে এখনও স্পষ্ট নয় কোথায় কী ভাবে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ করা হয়েছে। কারা এই কুকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাও স্পষ্ট নয় সিবিআই-এর কাছে। তবে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে এই নিয়ে টানা আটদিন জেরা করছে সিবিআই। অন্যদিকে নিহতের চার সহকরী চিকিৎসকের লাই-ডিটেকটর টেস্ট করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। যার মধ্যে রয়েছে দুইজন স্নাতকোত্তর প্রশিণক্ষার্থী আর একজন সাউস সার্জেন , আর একজন ইন্টার্ন। সিবিআই সূত্রের খবর চার জন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে এখনও মনে হচ্ছে না। কিন্তু এরা চারজনই প্রমাণ কারসাজিতে যুক্ত। এরা ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তাই পরীক্ষা করে দেখা হবে। সিবিআই-এর আগে এই চারজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
সিবিআই কী কী খুঁজে পেয়েছে-
মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল তিন তলার সেমিনার হলে। সেখানে এই চার চিকিৎসকের আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। একটি সিসিটিভি ক্যামেরাতে ধরা পড়েছে সেই রাতে শল্যচিকিৎসক প্রথম তলা থেকে তৃতীয় তলায় গিয়েছিল। রাত ২টো ৪৫ মিনিটে তিন জন তৃতীয় তলায় যান বলেও জানিয়েছে হাউস সার্জেন। ইন্টার্ন সেরাতে তৃতীয় তলায় ছিল। সে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেছে বলেও সিবিআই জানতে পেরেছেন।
সে রাতে কী ঘটেছিল-
সূত্রের খবর, নির্যাতিতা এবং দুজন প্রথম বর্ষের স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণার্থী একসঙ্গে মধ্যরাতে রাতের খাবার খেয়েছিলেন। তারপর তারা সেমিনার রুমে গিয়ে অলিম্পিকে নীরজ চোপড়ার জ্যাভলিন ইভেন্ট দেখেন। রাত ২টার দিকে দুই সহকর্মী ঘুমের ঘরে যান যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশ্রাম নেন। নির্যাতিতা সেমিনার কক্ষে ফিরে যান। ইন্টার্ন বলেছেন যে তিনি ইন্টার্নের কক্ষে ছিলেন। এই তিনটি কক্ষ - সেমিনার হল, ঘুম এবং ইন্টার্নের কক্ষ তৃতীয় তলায় একে অপরের কাছাকাছি অবস্থিত।
সকালের ঘটনা-
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে, একজন স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ ডাক্তার, যার সঙ্গে নির্যাতিতা আগের রাতেখাবার খেয়েছিলেন,তিনি ওয়ার্ড রাউন্ড শুরু হওয়ার আগে তাকে খুঁজতে গিয়েছিল। কলকাতা পুলিশের টাইমলাইনে বলা হয়েছে, তিনি দূর থেকে তার মৃতদেহ স্থির অবস্থায় পেয়েছিল। এরপর তিনি তার সহকর্মী ও সিনিয়র চিকিৎসকদের জানান যারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।