Kasba Law College: কসবা গণধর্ষন কাণ্ডে পুলিশের হাতে আরও তথ্য, উদ্ধার নির্যাতিতার ভিডিয়ো, বাজেয়াপ্ত সিসিটিভি ফুটেজ

Published : Jun 29, 2025, 08:25 AM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Kasba Gang Rape Case: কসবা কাণ্ডে এবার পুলিশের হাতে মিলল আরও বড় প্রমাণ। মনোজিতই যে প্রধান অভিযুক্ত তার সপক্ষে মিলল আরও প্রমাণ। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…  

Kasba Law College Incident: কসবা ল কলেজের আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষনের ঘটনায় পুলিশের হাতে এলো বড় তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মনোজিতের মোবাইলে মিলেছে নির্যাতিতা ছাত্রীর দেড় মিনিটের বিবস্ত্র ভিডিয়ো। এই বিষয়ে আগেই নির্যাতিতা ছাত্রী অভিযোগ করেছিলেন যে, তার ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেল করত অভিযুক্ত মনোজিত। এবার তার সপক্ষে মিলল বড় প্রমাণ।

সূত্রের খবর, পুলিশ অভিযুক্তের ফোন থেকে নির্যাতিতার ভিডিয়ো, পাশাপাশি কলেজের সিসিটিভি ফুটেজও বাজেয়াপ্ত করেছে। কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করল কলকাতা পুলিশ।অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার কলকাতা পুলিশ রবিন কুমার ঘোষালের নেতৃত্বে এই বিশেষ টিম কসবা কাণ্ডে তদন্ত করবে। কসবা কাণ্ডের পুন: গঠন করবে কলকাতা পুলিশ। কসবা কাণ্ডে মেডিকো লিগ্যাল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে এই মেডিকো লিগাল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত। নখের আঁচড় থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রমাণ খুঁজে পেতে এই সিদ্ধান্ত।এদিকে,কসবাকাণ্ডে গ্রেফতার কলেজের নিরাপত্তারক্ষী। তার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ৪।

 ধৃত গার্ডকে শনিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে তদন্তের স্বার্থে তাকে এক জুলাই পর্যন্ত পুলিশই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সরকারি পক্ষের আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল জানান, গার্ডের সঙ্গে যোগসাজশ করেই নির্যাতিতার ওপর গণধর্ষণ চালায় অভিযুক্তরা। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ধর্ষিতা ছাত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনার আগে বারবার সাহায্য চেয়ে নিরাপত্তারক্ষীর থেকে সাহায্য মেলেনি।

 অভিযোগ, মনোজিতদের নির্দেশ মিলতেই গার্ড রুম ছেড়ে বেরিয়ে যান ওই নিরাপত্তা রক্ষী। নিজের করা এফআইআর’এ অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন ধর্ষিতা ছাত্রী। কেন নিরাপত্তা রক্ষী নিজের কাজ করেননি, কেন সব জেনেও চুপ করে ছিলেন তিনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ।

২৫ শে জুন ঘটনার সময় ডিউটিতে ছিলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। ধৃত২ পড়ুয়াকে জেরা করে নিরাপত্তা রক্ষীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে দফায় দফায় জেরে করে প্রথমে আটক, তারপর গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সময় ইউনিয়ন রুমের বাইরে পাহারায় ছিল দুই আইন পড়ুয়া। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত, প্রায় চার ঘণ্টা সময় নিরাপত্তা রক্ষী নিজের ঘর থেকে বাইরে ছিলেন।

প্রসঙ্গত, নিজের কলেজেই গণধর্ষিতা হয়েছেন ওই আইনের ছাত্রী। ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে আগেই মনোজিত মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং জেব আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরেন্সিক টিম উদ্ধার করেছে চুল। প্রমাণ মিলেছে ধস্তাধস্তিরও। নির্যাতিতার মেডিক্যালে গলায় কামড়ের দাগ, সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যৌনাঙ্গে রয়েছে গভীর ক্ষত। সব মিলিয়ে গণধর্ষণের প্রমাণ স্পষ্ট।

কসবার আইন কলেজে তরুণী ছাত্রী ধর্ষণ হওয়ার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এই ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে। শনিবার রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছেও এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

কলেজের ভিতরে গণধর্ষণের ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অভিভাবকরা। শনিবারও সারাদিন বিরোধীদের দফায় দফায় বিক্ষোভ পুলিশের গ্রেফতার সব মিলিয়ে গড়িয়াহাট থেকে কসবা ছিল উত্তাল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের হুমকি হুমায়ুন কবীরের, হস্তক্ষেপে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন হুমায়ুন কবীর, রাজভবনে বিশেষ সেল চালু রাজ্যপালের