উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটে কুণাল ঘোষের বাড়ি। রামমোহন সম্মিলনীর পুজোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কুণাল ঘোষ। ঘটনাচক্রে অষ্টমীর সকালে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
পুজো পরিক্রমায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অষ্টমীর সকালেই গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাড়ায়। সেখানেই তিনি অষ্টমীর অঞ্জলি দেন। সব বিবাদ ভুলে কুণাল ঘোষ এদিন রাজ্যপালকে স্বাগত জানান।
উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটে কুণাল ঘোষের বাড়ি। রামমোহন সম্মিলনীর পুজোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কুণাল ঘোষ। ঘটনাচক্রে অষ্টমীর সকালে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি যান সুকিয়া স্ট্রিটে। সেখানেই তাঁকে স্বাগত জানান কুণাল ঘোষ। রাজ্যপালকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করা হয়। তারপর রাজ্যসঙ্গীতও গাওয়া হয়। কিছুক্ষণ কথাও বলেন দুজেনে। তারপরই রাজ্যপালকে সঙ্গে নিয়েই অঞ্জলি দেন।
বাংলার রাজ্যপাল, বাঙালি হয়েই রাজ্যপাল ঘুরে বেড়ালেন পুজো মণ্ডপে মণ্ডপে। পাঞ্জাবী পরেই তিনি কাটালেন অষ্টমীর সকাল। পুজো উদ্যোক্তারা এবারই প্রথম দুর্গাপুজোয় অঞ্জলি দিলেন রাজ্যপাল। তিনি প্রায় ৩৫ মিনিট ছিলেন কুণালের পুজোয়।
এর আগে ওনামের সঙ্গে রাজ্যপাল কুণালকে মিষ্টি ও উপহার পাঠিয়েছিলেন। তারই রাজ্যপালকে দুর্গাপুজোর উৎসবে উপহার দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। তারপরই রাজভবনের অনুমতি পেয়ে কুণাল রাজভবনে গিয়ে উপহার দিয়ে আসেন। সেই সময়ই রাজ্যপালকে পাড়ার পুজো দেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
রাজ্য়পাল ও কুণাল ঘোষের মধ্যে বিবাদ এই রাজ্যের সকলেরই জানা। দুই পক্ষই একাধিকবার দুজনকে আক্রমণ করেছেন। কুণাল একাধিকবার চড়া সুরেই সিভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করেছে। পাল্টা উত্তর দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরাগভাজন হয়েছেন রাজ্যপাল। দুর্গাপুজো রাজ্যপাল আর কুণাল দুজনেই সম্প্রীতির ছবিই তুলে ধরলেন।