ঘটনার পরের দিন সকালে নর্থ বেঙ্গল, স্বাস্থ্য ভবনের সব বড় বড় অফিসাররা কেন এসেছিল সেখানে? কী দরকার ছিল তাঁদের। কী লুকোতে চাইছে তাঁরা?
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে একের পর এক সত্য সামনে আসছে। চলছে সিবিআই তদন্ত। দফায় দফায় তাঁরা জেরা করছেন সন্দীর ঘোষ থেকে হাসপাতালের অন্যান্য সদস্যদের। এবার আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক হেড ক্লার্ক। সামনে নিয়ে এলেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন আর জি কর মেডিক্যালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রাক্তন হেড ক্লার্ক।
প্রাক্তন হেড ক্লার্ক তারক চট্টোপাধ্যায় এক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তো পাবলিক হয়ে গিয়েছে। যা ইন্টারনাল ও এক্সটারনাম ক্ষত ছিল, যা সিমেন পাওয়া গিয়েছিল সবার জানা। ওটা কি একজনের কাজ হতে পারে? আবার প্রথমে মেয়েটির বাড়ির লোককে বলা হয়েছিল সে নাকি আত্মহত্যা করেছে। তাহলে জামা কাপড় খোলা অবস্থায় আত্মহত্যা করেছে?
এরই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন অভয়ার দেহ তাড়াতাড়ি দাহ করা হল। তিনি বলেন, ‘আমাদের তো ৪৮টা চেম্বার আছে। সেখানে রাখা যেত না বডিটা। সঙ্গে সঙ্গে কেন দাহ করা হল। সেখানে ৪ ডিগ্রি টেম্বারেচার ফলে বডি নষ্ট হত না। তাহলে এত তাড়া কি ছিল? প্রমাণ মুছে দিতে হবে ?’ তিনি দাবি করেন, যদি অভয়ার দেহ আবার পোস্টমর্টেম হত তাহলে সত্য জানা যেন।
একই সঙ্গে বলেন, ঘটনার পরের দিন সকালে নর্থ বেঙ্গল, স্বাস্থ্য ভবনের সব বড় বড় অফিসাররা কেন এসেছিল সেখানে? কী দরকার ছিল তাঁদের। কী লুকোতে চাইছে তাঁরা?
এভাবে ফের বিস্ফোরক সেখানেরই প্রাক্তন হেড ক্লার্ক। তাঁর কথায় স্পষ্ট সত্য গোপনের চেষ্টা করতেই অভয়ার দেহ দ্রুত দাহ করা হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।