আবারও কলকাতা শহরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় শেষপর্যন্ত, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ঘরগুলি। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এদিকে ঝুপড়ির পাশেই রয়েছে একটি বহুতল, রেস্তোরাঁ এবং বেশ কিছু দোকান। কিন্তু সেখানে আগুন ছড়ায়নি।
তবে ঝুপড়ির পাশে একটি পাকা বাড়ির ভিতর আগুনের ফুলকি ঢুকে বিছানায় আগুন ধরে গেছে বলে জানা গেছে। আর নিজেদের ঘর হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ঝুপড়ির বাসিন্দারা। কীভাবে সেখানে আগুন লাগল, এখনও তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি দমকল কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার কিছু পরে আগুন ধরে যায় সেই ঝুপড়িতে। তারপর সেই আগুন ধীরে ধীরে পাশের ঘরগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। এই খবর পেয়েই, ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। পাঁচটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নেভে আগুন। ততক্ষণে ঝুপড়িগুলির ভিতরে আর কিছুই বেঁচে নেই। সবই প্রায় পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এদিকে ঘর হারিয়ে প্রায় কান্নায় ভেঙে পড়েন বাসিন্দারা। তারা বলছেন, প্রায় ৫-৬টি ঝুপড়ি পুরো পুড়ে গেছে। আগুন দেখে সকলে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। সেইজন্য কেউ হতাহত হননি।
উল্লেখ্য, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে বাইপাসের ধারে আনন্দপুর বস্তিতে একবার আগুন লাগে। হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকায় সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনাতেও প্রায় ৫০টি ঝুপড়ি এবং দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মূলত, সিলিন্ডার ফেটে হয়েছিল সেই বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে সেই আগুন নেভায়। আর এবার কালিকাপুরের ঝুপড়িতে আগুন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।