
গার্ডেনরিচের বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় এক এক করে বেরিয়ে আসছে বেআইনী প্রোমোটিং-এর চক্রের তথ্য। রবিবার মধ্যরাতে বিভীষিকায় বেঘোরে প্রাণ গিয়েছে ৯ জনের। কীভাবে প্রোমোটার হয়ে উঠেছিল মহম্মদ ওয়াসিম ওরফে ওয়াসি। আর তার সঙ্গে ফুঁলেফেঁপে উঠেছিল এলাকার কাউন্সিলর শামস ইকবালের সম্পত্তি, তার তথ্য বেরিয়ে আসছে ধীরে ধীরে।
নির্মাণের প্রোমোটারের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে তাতেও বিতর্ক থামছে না। এবার নয়া বিতর্ক, ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবালের ঘনিষ্ঠতা।
জানেন কী কে এই শামস ইকবাল! ৫ কোটি মূল্যের গাড়ি করে কলকাতা পুরসভায় এসে চমকে দিয়েছিলেন সকলকে। কিন্তু তারপরেও কোনওরকম হুঁশ ফেরেনি ওই কাউন্সিলরের। স্থানীয় বাসিন্দাদেরই একাংশের বক্তব্য, বিলাসবহুল জীবনযাপন করাই ওই কাউন্সিলরের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়।
কার্যত তাঁর দিকেই ইঙ্গিত করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, “এক জন কাউন্সিলর পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কিনেছেন। কোথা থেকে এল এই টাকা?” এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি ‘ব্যস্ত আছেন’ বলে এড়িয়ে যান।
তবে বেআইনী প্রোমোটিং-এর ঘটনা কাউন্সিলরের কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি করছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি অবৈধ নির্মাণ দেখার কাজ কাউন্সিলরের নয়। সেক্ষেত্রে পুর ইঞ্জিনিয়ারদের ঘাড়েই দোষ ঠেলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে তৃণমূলের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রয়েছেন তিনি। শামশের বাবা মুন্না বা মহম্মদ ইকবালের নাম জড়িয়েছিল একটি বড় কেসে। পুলিশ সূত্রে খবর, গার্ডেনরিচে পুলিশ কর্মী তাপস চৌধুরী খুনকাণ্ডে অভিযুক্ত হন মুন্না ইকবাল। মুন্না ইকবালও তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন। একইসঙ্গে ছিলেন ১৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান। গুলি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর কাউন্সিলর হন শামস ইকবাল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।