
বড় ধাক্কা খেলেন মমতা (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী নন, এ রাজ্যের বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলির আচার্য থাকছেন রাজ্যপালই। নবান্নের সংশোধনী প্রস্তাবে সম্মতি দিলেন না রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। জানা গিয়েছে রাজ্যে আপাতত সহায়তাপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যপদে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এইমুহুর্তে বঙ্গ রাজনীতি বেশ সরগরম। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে সহায়তাপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যপদ নিয়ে বড় আপডেট প্রকাশ্যে এল।
নিয়ম পরিবর্তন নয় আচার্য পদে!
ইতিমধ্যেই রাজভবনের তরফেও জানানো হয়েছে যে, রাজ্যপাল আগের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে কলকাতার লোকভবনে অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে। কারণ, রাষ্ট্রপতি বিলগুলিতে অনুমোদন না দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যপদে থেকে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
জানা গিয়েছে, আচার্যপদে রাজ্যপালের পরিবর্তে আর মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রস্তাব কার্যকর হল না। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২২–এর দু’টি সংশোধনী বিলে সম্মতি দিলেন না।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট লোকভবনের
সমাজমাধ্যমে লোকভবনের (রাজভবনের পরিবর্তিত নাম) তরফে পোস্ট করে জানানো হয়েছে, ‘২০.০৪.২০২৪ তারিখে পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২২ রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষিত রেখেছিলেন রাজ্যপাল। ওই বিলের মাধ্যমে রাজ্য-সহায়তাপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে নিযুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। একই দিনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) বিল ২০২২,-ও রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়। ওই বিলেও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আমির-ই-জামিয়া (চ্যান্সেলর) পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগের প্রস্তাব ছিল। রাষ্ট্রপতি বিলে সম্মতি দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন’।
উল্লেখ্য, গতবছর ২০ এপ্রিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২২ রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছিলেন। সেই বিলে প্রস্তাব করা হয়েছিল যে, রাজ্যের সহায়তাপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করবেন। এই বিলে রাজ্য সরকার যুক্তি দিয়েছিল, এতে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গতি আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সরকারের ভূমিকা আরও কার্যকর হবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত এই বিল মানতে নারাজ রাষ্ট্রপতি।