খুব বড় সাইজের না হলেও ছোট ও মাঝারি মাপের ইলিশে ছেয়ে গেল বাজার।
খাদ্যরসিকদের জন্য সুখবর। বাজারে এল প্রচুর পরিমানে ইলিশ। বৃহস্পতিবার শহরও শহরতলির বাজার ছেয়ে গেল ইলিশ মাছে। এদিন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দোকানেই দেখা মিলেছে ইলিশের। তবে খুব বড় সাইজের না হলেও ছোট ও মাঝারি মাপের ইলিশে ছেয়ে গেল বাজার। বড় ইলিশ মিলছে কমই। আমদানি ভালো হওয়ায় দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে ইলিশের।
কত দামে বিকোচ্ছে ইলিশ?
এদিন ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ মাছের দাম। রয়েছে সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা পর্যন্ত। ৩৫০ গ্রামের ইলিশের দাম শুরু হয়েছে ৫০০ টাকা থেকে। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশের দাম ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছের দাম ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা। তবে বাজারে বড় ইলিশের তুলনায় সংখ্যায় বেশি ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ।
একনজরে ইলিশের দর
প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহের শুরুতেই সুখবর এল দিঘা থেকে। বিগত কয়েকদিনে জালে উঠেছে প্রচুর পরিমানে ইলিশ। শুধু দিঘা নয়, বকখালি, কাকদ্বিপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবারেও উঠেছে প্রচুর পরিমানে ইলিশ। ফলত কলকাতা-সহ বাংলার খুচরো ও পাইকারি দোকানে পর্যাপ্ত পরিমানে আসছে রূপোলি ফসল। ফলত দামও বেশ খানিকটা কম। সূত্রের খবর। গত সাত-দশ দিনে প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে ইলিশের দাম।
মানিকতলা-পাতিপুকুর-বালিগঞ্জের পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম দাঁড়িয়েছে দেড় থেকে দু'শো টাকা কেজিতে। বাংলার ভোজন রসিকদের কাছে এ এক বড় সুখবর। বর্ষার শুরু থেকেই ইলিশের দাম কমার অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। দাম হাতের নাগালে এলেই মোটামোটি ভালো মাছ পাতে তুলতে পারবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এর আগেও পর পর দু'দিন বিপুল পরিমাণ ইলিশ জ্বালে উঠেছে। গতকালই দিঘার পাইকারি বাজারে প্রায় ৩৫-৪০ টন ইলিশ এসেছিল৷ আজ এসেছে প্রায় ৬০ টন। রূপোলি শষ্যের এহেন আমদানিতে খুশি মৎস্যজীবী থেকে মাছ ব্যবসায়ীরা। প্রায় সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো গ্রাম, সাতশো গ্রাম থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের মাঝ ধরা পড়েছে এদিন।