
IIM Joka News: প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে অভিযোগকারিণী সেই তরুণীর ভূমিকা নিয়েই। কারণ, আইআইএম জোকার ছাত্রাবাসে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কার্যত, ঘটনায় এখন নতুন মোড় (iim calcutta news)।
শুক্রবার, রাতের সেই ঘটনায় অভিযোগ উঠছে যে, আইআইএম জোকার ছাত্রদের হোস্টেলে এক বহিরাগত তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় একজন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সেই ঘটনার তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই যেন জটিলতা দেখা দিচ্ছে (iim kolkata news)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঐ তরুণী নিজেই দাবি করে বসেন, তিনি কাউন্সেলিংয়ের জন্য হোস্টেলে গেছিলেন। তাঁকে নাকি আমন্ত্রণ জানান কর্নাটকের এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু সেখানে গিয়েই ঘটে যায় সেই অঘটন।
সেই অভিযোগ অনুযায়ী, ঐ ছাত্র তাঁকে খাতায় কোনও সই না করিয়েই হোস্টেলের ভিতরে নিয়ে যান। সেখানে পিৎজা এবং ঠান্ডা পানীয় খাওয়ানো হয় সেই তরুণীকে। অভিযোগ উঠছে, ঐ ঠান্ডা পানীয়র মধ্যেই কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে, অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু হুঁশ ফিরলে বুঝতে পারেন, তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সেই রাতেই তরুণী ঠাকুরপুকুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে চান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে পাঠায় হরিদেবপুর থানায়। কারণ ঘটনাস্থলটি সেই থানার মধ্যেই পড়ে। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তদন্তের কাজ শুরু করে এবং রাতেই ঐ অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করা হয়।
কিন্তু শনিবার দুপুরে, অভিযোগকারিণীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তিনি পরীক্ষা করাতে আপত্তি জানান। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের সময় তাঁর গায়ে থাকা পোশাকটিও পুলিশকে কোনওভাবেই দিতে তিনি রাজি হননি তিনি। তাছাড়া তদন্তের স্বার্থে তরুণীর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলে, পুলিশ তাঁর কাছে পাসওয়ার্ড চাইলে তাও তিনি দিতে অস্বীকার করেন বলে খবর। পুলিশের একাংশ বলছেন, এই ধরনের আচরণ আদতে তদন্তে সমস্যা তৈরি করছে।
তিনি হটাৎ দাবি করে বসেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনাই নাকি ঘটেনি। তাঁর কথায়, পুলিশের কাছে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রটি নাকি তাঁর মেয়ের লেখাই নয়। তাঁকে দিয়ে সেটা জোর করে সই করানো হয়েছে।
এমনকি, তিনি অভিযোগ করছেন, আইআইএম-এর মতো কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কালিমালিপ্ত করতেই নাকি এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তদন্তের নাম করে একটি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে বলেই মনে করেন তিনি।
একদিকে গুরুতর অভিযোগ, অন্যদিকে অভিযোগকারিণীর অসহযোগিতা এবং এবার তাঁর বাবার এই বক্তব্য। তাই এই মামলা আদৌ কী অবস্থায় গিয়ে পৌঁছবে, তা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।