কলকাতায় তৈরি হওয়া ২২০টি ফ্ল্যাট বিতরণ করা হবে, কারা পাবেন জানিয়ে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

Published : Jan 27, 2025, 06:24 PM IST
dana effect Pumps have been run to remove accumulated water in Kolkata  Firhad Hakim bsm

সংক্ষিপ্ত

বাগবাজারে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ২২০টি ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। পুজোর আগেই বস্তিবাসীদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে অনুযায়ী, সারদা মায়ের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে।

বাগবাজার মায়ের বাড়ি এলাকার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে নতুন ফ্ল্যাট তৈরী করা হচ্ছে বলে জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।কাজ কতদূর এগিয়েছে তার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেয়র। সেখান থেকে সারদা মায়ের বাড়িও যান। এদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, ফ্ল্যাট তৈরির দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে আসছে বছর পুজোর আগেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। সেটা হলেই বস্তিবাসীদের একাংশের হাতে নতুন ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়া হবে।

পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, এই আবাসনগুলিতে প্রত্যেক পরিবারের জন্য দুটি বেডরুমের সঙ্গে থাকছে একটি শৌচালয়, রান্নাঘর এবং এক ফালি বারান্দার জায়গা। আবাসনের উচ্চতা ১৫ মিটারের বেশি হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছে ছিল সারদা মায়ের বাগবাজারের বাড়ির এলাকাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলবেন। আর সেই ইচ্ছে এবার পূরণ করছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতায় নানা প্রান্তে বহু মানুষ বস্তিতে বসবাস করেন।এবার তাদের জন্যও বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাট তৈরি করে দিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।পুরসভা সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের অধীনে মায়ের বাড়ি সংলগ্ন বস্তি এলাকাতে ইতিমধ্যেই ২২০টি ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০০টি ফ্ল্যাটের চাবি ইতিমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ফ্ল্যাটের জন্য ৫০০ টি আবেদন জমা পড়েছে। এর জন্য যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে বস্তি এবং সার্ভে বিভাগ। 

মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মতে, এটি মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত শখের প্রকল্প। তাছাড়া ধর্মীয় হোক ঐতিহাসিক উভয় দিক থেকেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গা। সেই কারণে গুরুত্ব নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ চলছে, এমনভাবে সেজে উঠবে যে আগামী দিনে আন্তর্জাতিক পর্যটকেরাও এই জায়গার প্রতি আকৃষ্ট হবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলকাতা পুরসভাকে বস্তি মুক্ত করতে বস্তিবাসীদের পাকা বাড়ি দেওয়া একটি বড় পদক্ষেপ। বস্তি মানে ঘিঞ্জি এলাকা। একটা দুটো শৌচালয়ে ভিড় জমে বস্তিবাসীদের। আর পানীয় জল নিতে জমে প্রচুর ভিড়। এই উদ্যোগের ফলে বস্তি মুক্ত হবে কলকাতা। উল্লেখ্য, আবাসন নির্মাণ, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ, রাস্তা ও নিকাশি নালা তৈরির যাবতীয় খরচ বহন করছে রাজ্য সরকারই।

PREV
click me!

Recommended Stories

'ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাবোই, এটা বাবরের দেশ নয়', কলকাতায় এসে হুঙ্কার ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী
Gita Path : 'মুখ্যমন্ত্রী না এসে প্রমাণ করলেন প্রকৃত হিন্দু নন' তোপ শুভেন্দু অধিকারীর