মঙ্গলবার সকালে অবশেষে ফেসবুক পোস্টে যাবতীয় প্রমাণ-সহ সাফাই দিলেন অরিত্র। এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। যাদবপুরের ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নন বলেও দাবি করেন তিনি।
যাদবপুরের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর পর থেকেই সন্দেহের তালিকায় নাম জুড়েছে যাদবপুরের ছাত্রনেতা 'আলু' ওরফে অরিত্র মজুমদারের। সংবাদমাধ্যমে বহুদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছে এই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। মৃত্যুর প্রমাণ লোপাট থেকে পলাতক হওয়ার অভিযোগও উঠেছিল আলুর বিরুদ্ধে। এবার অবশেষে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেন অরিত্র। এতদিন তাঁর নীরবতা জল্পনা আরও উস্কে দিচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে অবশেষে ফেসবুক পোস্টে যাবতীয় প্রমাণ-সহ সাফাই দিলেন অরিত্র। এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। যাদবপুরের ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নন বলেও দাবি করেন তিনি। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণও দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে অরিত্র জানিয়েছেন তিনি কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। তিনি ঢোকেনইনি। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন তিনি মেইন হস্টেলে যাননি। অরিত্রর কথায়,'৯ আগস্ট রাতে আমি যাদবপুরের মেন হোস্টেলে ঢুকিইনি। এমনকি, তার আগের বেশ কিছুকাল আমি হোস্টেলে যাইওনি। আমি সেই রাতে কেপিসি হাসপাতালেও গিয়ে উঠতে পারিনি। ফলে, গোটা অভিযোগটাই অবান্তর। আশা করি, তদন্ত করলে এই কথা সহজেই প্রমাণ হবে।' এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা 'পলাতক' অভিযোগ নিয়েও মুখ খোলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে অরিত্র লিখেছেন,'এরপর দ্বিতীয় অভিযোগ। আমি নাকি এই ঘটনার পর থেকে পলাতক। এমনকি, কেউ কেউ লিখেছেন, লিখে চলেছেন, রাজ্যের শাসকদলের কোনও এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় আমি লুকিয়ে আছি। এই অভিযোগ অভাবনীয়। আমার ও আমার পরিবারের দিক থেকে দেখলে বীভৎসও বটে।' তবে কোথায় ছিলেন এতদিন আলু? সেবিষয় খোলসা করলেন অরিত্র নিজেই। তিনি জানিয়েছেন,'১০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার, আমি রাজধানী এক্সপ্রেসে নয়া দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখান থেকে পরের দিন শ্রীনগরগামী ফ্লাইট ধরি। আমাদের গন্তব্য ছিল কাশ্মীর গ্রেট লেকস। এই ট্রেকে আমার সঙ্গে আরও অনেকেই ছিলেন। এবং, যাঁরা এই ট্রেকিং রুটের ব্যাপারে অবহিত, তাঁরা জানেন, এখানে নেটওয়ার্কের বালাই নেই। প্রায় চারমাস আগেই (২২ ও ২৩ এপ্রিল) টিকিট কাটা হয়েছিল ট্রেন ও ফ্লাইটের। সেসবও নেওয়া হয়েছিল যাওয়ার আগে। এই সব নথিই আপনাদের সামনে থাকল। কোনওদিন ভাবিওনি, এভাবে ব্যক্তিগত নথি ও প্রমাণ দেখিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে হবে। সে যাহোক।'