
জাতীয় সঙ্গীতকে সামনে রেখে এবার বেছে নেওয়া হবে রাজ্য সঙ্গীত! জাতীয় সঙ্গীতের আদলেই তৈরি হবে সেটি। বিধানসভা সূত্রে খবর, 'রাজ্য সঙ্গীত' বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য সোমবার পয়লা বৈশাখকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করতে ওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সেই কারণে ওই দিনটি পশ্চিবমঙ্গ দিবস হিসেবে ঘোষণা করতেও তৎপর হয়েছে মমতা প্রশাসন। তারজন্য বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করতে চায় রাজ্য। তেমনই খরব রাজ্য প্রশাসন সূত্রে। এর জন্য একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। চলতি বছর ২০ জুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেন।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যের নিজস্ব সঙ্গীত রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তেমন কোনও সঙ্গীত নেই। একটা জাতীয় সঙ্গীত গোটা দেশের জন্য প্রযোজ্য। তবে অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গীত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এমন যদি কোনও সঙ্গীত হয়, তা হলে ভালই হয়।”
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ওড়িশা, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাত, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর ও উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলির ‘রাজ্য সঙ্গীত’ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সে ভাবে বাংলারও 'রাজ্য সঙ্গীত' থাকা প্রয়োজন বলেই মনে করেছেন স্পিকার। হতে পারে, কোনও প্রচলিত সৃষ্টি বা হতে পারে নতুন করে কোনও গান তৈরি করে সেটিকে ‘রাজ্য সঙ্গীত’-এর স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে। যে ভাবে অন্য রাজ্যের রাজ্য সঙ্গীত সেখানকার ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংস্কৃতির কথা বলে, তেমন করে এখানেও এই গান সেই কথাই বলবে৷ ইতিমধ্যে বেশি কিছু গান নিয়ে আলোচনাও হয়েছে বলে খবর। যে গানের সঙ্গে বাংলার আমজনতার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোনও গানকে ‘রাজ্য সঙ্গীত’ করার ভাবনা-চিন্তা চলছে।
২০২০ সালে ওড়িশার রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয়েছে ‘বন্দে উৎকল জননী’। আবার ২০১২ সালে বিহারের রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ‘মেরে ভারত কে কণ্ঠহার’-কে গ্রহণ করা হয়েছে। আবার অসমের রাজ্য সঙ্গীত রয়েছে ‘ও মুর আপুনার দেশ’। বিধানসভা সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকটি গানও মাথায় এসেছে কর্তৃপক্ষের। তবে এখনই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা। বিধানসভা সূত্রে খবর, 'রাজ্য সঙ্গীত' বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কমিটি গঠন করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।