
সব জল্পনার শেষ। আগামী ৬ মার্চ বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভামঞ্চ থেকেই বিজেপিতে যোগ দেবেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্বাচনে তমলুক থেকেই লোকসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রার্থী হচ্ছেন বলেই জোর জল্পনা।
রবিবার সাক্ষাৎকারে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠাবেন। তারপরই তিনি রাজনীতির ময়দানে যাবেন। তবে কোন রাজনৈতিক দলে তিনি নাম লেখাবেন তা খোলসা করেননি। তিনি আরও বলেন, 'যদি কোনও রাজনৈতিক দলে তিনি যোগ দেন তারা যদি ভোটে লড়ার টিকিট দেয় তাহলে তিনি বিবেচনা করে দেখবেন।'
পরে জানা যায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। উল্লেখ্য, তমলুকের বর্তমানের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের টিকিট জিতলেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে অধিকারী পরিবার বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রেখে চলছে। বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে সৌমেন্দু অধিকারীর। লড়ছেন কাঁথি আসন থেকে। যেখানকার বর্তমান সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। জল্পনা সত্যি হলে তমলুক থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভোটে লড়বেন। সেক্ষেত্রে দিব্যেন্দু কোথা থেকে টিকিট পান, সেটাই এখন দেখার।
সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তুুমুল সমালোচনা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় এজলাসে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে নানা কথা বলতে শোনা গিয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে।
এদিন তিনি বলেন তিনি বলেন, "এই যে বৃহত্তর ক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে আমাকে, এর জন্য আমাদের ক্ষমতাসীন দলকে অভিনন্দন জানাব। আমি যখনই কোনও ন্যায় বিচার করতে গিয়েছি, যেখানে ন্যায্যতা থাকবে, সেটা যখনই তাদের পছন্দ হয়নি, তাদের বিভিন্ন মুখপাত্র বিচারপতির উদ্দেশে, আদালতের উদ্দেশে অত্যন্ত অপমানজনক মন্তব্য করেছেন, ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন। বারে বারেই ওই দলের তরফে বলা হয়েছে, সামনে মাঠে আসুন, এসে লড়াই করুন। আমি ভেবে দেখলাম, তাঁরা যখন ডেকেইছেন এত করে, এত ধরনের ব্যঙ্গ এবং অপমানজনক কথা বলেছেন, তাহলে তাঁদের ইচ্ছেটাই পূর্ণ হওয়া উচিত। "
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।