কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর বিদেশ মন্ত্রকথেকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করে ফিরহাদা হামিকে রাশিয়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের রাশিয়া সফর বাতিল। অনুমতি দিল না বিদেশ মন্ত্রক। শনিবার বিদেশ মন্ত্রক জানয়েছে, 'রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন' থেকে বিচার করে ফিরহাদ হাকিমকে মস্কো যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে নাা। চলতি মাসের ১৭ সেপ্টেম্বরে মস্কো যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। ভারতের মধ্যে একমাত্র কলকাতাকেই এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান হয়েছিল।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর বিদেশ মন্ত্রকথেকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করে ফিরহাদা হামিকে রাশিয়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই সফর বাতিল। মেয়র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি না দেওয়ায় তাঁর রাশিয়া যাওয়া হচ্ছে না। কিন্তু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন কী আর কেন সফর বাতিল করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয় রাজ্য প্রশাসন ও পুরকর্তাদের কাছে।
দেশের কোনও জনপ্রতিনিধি বিদেশ যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলে যাতায়াতের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যদিও নিয়ম মেনে আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েরও অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেও ছা়ড়পত্র পেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও আবেদন জানিয়েছিলেন। সেখান থেকেও ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। কিন্তু বাধ সাধে এস জয়শঙ্করের বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রক তাঁকে রাশিয়া সফরের অনুমতি দিতে চায়নি।
তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন সফর বাতিল হয়েছিল অনুমতি না পাওয়ায়। কিন্তু এক্ষেত্রে ফিরহাদকে কেন আমন্ত্রণমূলক বিদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া হল না তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুরসভাতেও। ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন ব্রাজিল, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপ্রধানেরা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে কেন কলকাতার মেয়রকে যেতে বাধা দেওয়া হল তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।