আর চারটে দিনের মতো ব্যস্ততা রয়েছে বিমানবন্দর জুড়ে। যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে বিমানে ওঠার তাড়া। তবে আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে।
যাত্রীদের চোখে মুখে তখনও আতঙ্ক। সবার মনে তখনও কী হয় কী হয় ভাব। যদিও পরিস্থিতি দিনের আলো ফুটতেই অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যায় কলকাতা বিমানবন্দরে। তবু যে ছবি বুধবার রাতে দেখল কলকাতা, তাতে আতঙ্ক থাকা স্বাভাবিক। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকাই আগুন লাগে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনা কর্মীদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীদের বিমানবন্দর থেকে বের করে দেওয়া হয়। তবে প্রবল আতঙ্কের জেরে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পরে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ছুটে আসে সিআইএসএফ-এর জওয়ানরা।
সূত্রের খবর ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমাবন্দরের গেটের সামনে গার্ড ওয়াল করে একটা নিরাপদ ব্যুহ তৈরি করা হয়। একে একে যাত্রীদের বের করে নিয়ে আসা হয়। আগুন দেখে সমস্ত ডিপারচার লাউঞ্জের কাউন্টারের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলত বহু যাত্রী লাগেজ নিয়ে আসতে পারবেন কি না বুঝতে না পেরে ভিতরে লাগেজ ফেলে বেরিয়ে এসেছিলেন। পাশাপাশি সমস্ত বিমান-এর টেক অফ হোল্ড হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের বহর বেড়ে যায়। স্পাইস জেট থেকে শুরু করে ইন্ডিগো এবং বেশি কিছু বিমান সংস্থা তাদের উড়ানের সময় পিছিয়ে দেয়। বহু উড়ান বাতিল হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে ধীরে ধীরে সব বিমানই গন্তব্যের দিকে উড়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে এটাই রক্ষে, বলছেন যাত্রীরা। এদিকে, কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কী বলছে! সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে কলকাতা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর সি পট্টাভি জানান, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। যাত্রী পরিষেবাও স্বাভাবিক। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিমানবন্দরে যে আগুন লেগেছিল, তা খুব ছোট্ট ঘটনা। এই অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর রাত ১০টা ২৫ মিনিটে প্রথম বিমান পরিষেবা চালু হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাকি বিমানও ছাড়া হয়।
সূত্রের খবর সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক কলকাতা বিমানবন্দরে। আর চারটে দিনের মতো ব্যস্ততা রয়েছে বিমানবন্দর জুড়ে। যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে বিমানে ওঠার তাড়া। তবে আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে। যাত্রী থেকে বিমানবন্দর কর্মীরা- সকলেই চাপা উদ্বেগ নিয়ে কাজ করছেন।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ভিস্তারার কনভেয়ার বেল্টের পাশে আগুন লাগে প্রথমে, সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে। শর্টসার্কিট থেকে আগুন বলে অনুমান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৩টি ফায়ার ব্রিগেডের ইঞ্জিন। খুলে দেওয়া হয় সমস্ত দরজাও। দমকল সূত্রে জানা যায় আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু, কালো ধোঁয়ায় ঢেকে ছিল পুরো বিমানবন্দর।