
কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার রেশ পুরোপুরি কাটেনি। তারই মধ্যে শহরের নামী ম্যানেজমেন্ট কলেজে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল। এবার ঘটনাস্থল জোকার ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট। সূত্রের খবর, যার সঙ্গে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেই নির্যাতিতা ওই কলেজের পড়ুয় নয়। যদিও ঘটনার খবর পয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ম্যানেজমেন্ট পডুয়াকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতিতা কলেজ হোস্টেলে গিয়েছিলেন এক বন্ধুর কাছে। হস্টেলেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসিং-এর নাম করেই তাকে কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কলেজে নিয়ে গিয়েছিল দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। কলেজে প্রবেশের পরই বয়েজ হোস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। বিশেষ কাজ রয়েছে বলেও জানিয়েছিল অভিযুক্ত। বয়েজ হোস্টেলেই তরুণীকে জল ও পৎজা খেতে দেওয়া হয়। তরুনী জানিয়েছেন, সেগুলি খেয়েই তিনি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। সেই সুযোগেই তাঁর ওপর নির্যাতন করা হয়। তরুণী বাধা দিতে গেলে মারধর পর্যন্ত করা হয়। তরুণী জানিয়েছেন তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।
নির্যাতিতা তরুণী সেখান থেকে বেরিয়ে ঠাকুরপুকুর থানায় যান। কিন্তু ওই ম্যানেজমেন্ট কলেজ হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত। তাই সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ অ্যাকশন নেয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। অভিযুক্ত পরমানন্দ জৈন। ম্যানেজমেন্ট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। অভিযুক্ত তরুণীর পূর্ব পরিচিত। তরুণী জানিয়েছেন, তাকে মাদক খাইতে ধর্ষণ করা হয়েছে।
জোকার ম্যনেজমেন্ট কলেজটিতে ভর্তি হতে গেলে সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়ে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পড়ুয়ারা সেখানে পড়াশুনা করে। এই কলেজের নিরাপত্তার ব্যবস্থা যথেষ্ট কড়া। তাই নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে একজন বাইরের তরুণী কী করে কলেজের বয়েজ হোস্টেল পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারল তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তরুণী রেজিস্ট্রারেও সই করেনি। তাই কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।