পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার মাঝরাতে বহুতলের পাঁচ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই মৃত্যুর পিছনে কী কাজ করেছে পরকীয়া। পুলিশ অন্তত তেমনই মনে করছে।
বিদেশী প্রেমিকার বহুতলের ফ্ল্যাট থেকে নীচে নামতে গিয়ে মৃত্যু হল এক চিকিৎসকের। কলকাতার প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় একটি বহুতলের নীচ থেকে সোমবার গভীর রাতে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ওই চিকিৎসকের। মৃত চিকিৎসকের নাম শুভঙ্কর চক্রবর্তী। প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় একটি বহুতলের নীচ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের স্ত্রী ও সন্তান থাকেন সল্টলেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বহুতলে থাকেন চিকিৎসকের বান্ধবী। তাঁর বান্ধবী তাইল্যান্ডের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রগতি ময়দান থানায় রয়েছেন বান্ধবী। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, তা তাঁর কাছ থেকে জানছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার মাঝরাতে বহুতলের পাঁচ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই মৃত্যুর পিছনে কী কাজ করেছে পরকীয়া। পুলিশ অন্তত তেমনই মনে করছে। মদ্যপ অবস্থায় ওই বহুতলের কার্ণিশ বেয়ে নামতে গিয়ে নীচে পড়ে যান ওই চিকিৎসক বলে ধারণা পুলিশের। কারণ থাইল্যান্ডের বান্ধবীর ফ্ল্যাটে মদ্যপান করাকালীন অনেকবার ফোন আসে বাড়ি থেকে। এরপরেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন তিনি। ততক্ষণে ফ্ল্যাটের প্রধান দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ছাদ থেকে দেওয়াল বেয়ে নামার চেষ্টা করেন তিনি।
বহুতলের কেয়ারটেকারের মা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে-জামাই থাকে এখানে। মেয়ের কাছ থেকেই খবর পাই যে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা কেয়ারটেকার হিসাবে থাকি। চিকিৎসক এবং তাঁর বান্ধবী— দু’জনেই থাকেন এখানে। বান্ধবী তাইল্যান্ডের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই চিকিৎসকের বাড়ি সল্টলেকে। আমরা ওঁদের স্বামী-স্ত্রী হিসাবে জানতাম। মাঝেমাঝে আসতেন এখানে। আজ জানতে পারলাম যে, ওই চিকিৎসকের স্ত্রী, সন্তান সল্টলেকের বাড়িতে থাকেন।’’
এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ফেসবুকে তাইল্যান্ডের এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ওই চিকিৎসকের। থাইল্যান্ডের ওই মহিলার নাম পিনপিনাট ফ্রুয়েট্যানন। সেই আলাপ বন্ধুত্বে গড়ায়। গত ২৩ মে নেপাল ঘুরে ভারতে আসেন চিকিৎসকের ওই বান্ধবী। তিনি তাইল্যান্ডের বাসিন্দা। তার পর থেকে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার ওই বহুতলে ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকছিলেন বান্ধবী। বহুতলে ছোট একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ওই বহুতলে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন চিকিৎসক।