লালনের পরিবার বরাবরই চেয়েছিলেন যে এই মৃত্যুর সিআইডি তদন্ত হোক। লালনের পরিবারের সেই দাবি এবার মেনে নিলো হাই কোর্ট। তবে বিচারপতির কড়া নির্দেশ যে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে।
লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই বহু জল্পনা হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। লালন শেখের মৃত্যর জন্য কে বা করা দায়ী তা নিয়েও বাক-বিতন্ডা হয়েছে বহু। কিন্তু লালনের পরিবার বরাবরই চেয়েছিলেন যে এই রহস্য মৃত্যুর সিআইডি তদন্ত হোক। লালনের পরিবারের সেই দাবি এবার মেনে নিলো হাই কোর্ট। তবে বিচারপতির কড়া নির্দেশ যে তদন্তভার সিআইডির হাতে থাকলেও কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না এফআইআরে নাম থাকা ৭ সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুর তিনটেয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে শুরু হয় মামলার শুনানি। সেখানে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, মৃত লালন শেখের স্ত্রীকে এই মামলায় যুক্ত করা হল না কেন? তিনি বলেন, “অধিকারিকদের বিরুদ্ধে যখন এফআইআর হতেই আপনারা নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অথচ যিনি মারা গেলেন তাঁর পরিবারের কথা ভাবলেন না?” জবাবে সিবিআই জানায়, “আদালতের নজরদারিতেই বগটুই মামলার তদন্ত চলছে। তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে ছিল লালন। যেদিন ঘটনা ঘটে সেদিন সকাল থেকেও সে ভালই ছিল। বাথরুমে কলের পাইপে গামছা জড়িয়ে আত্মহতা করেছে লালন শেখ। দেহ নামানোর সময় ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। দেহ পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেও ভিডিও করা হয়েছে।”
সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও জানায়, গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে যে দু’জন সিবিআইয়ের অধিকারিক গ্রেপ্তার করেছিলেন সেই আইও’র নামও জড়ানো হয়েছে এখানে। তাই বিষয়টি যে পুরোপুরি সিবিআইকে ফাঁসানোর জন্যই সে অভিযোগ স্পষ্ট জানান তিনি।
অপরদিকে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের কেন হেও করা হচ্ছে জানি না। রাজ্য পুলিশের অনেক দক্ষ আইপিএস অফিসার রয়েছেন। যাঁরা অনেক অনেক বেশি দায়িত্ব পালন করেন নিরপেক্ষভাবে। তবে পুরো সিবিআই এজেন্সিকে দায়ি করা হচ্ছে না এদিন তাও স্পষ্ট করা হয় রাজ্যের তরফে।