বোর্ড গঠনে চাপ সৃষ্টির জন্যই শাসক দল এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার শুরু হয়েছে নতুন করে সন্ত্রাস। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে না হতেই খাস কলকাতা থেকে অপহরণ করা হল বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের। জানা যাচ্ছে বন্দুকের ডগায় অপহরণ করা হয়েছে বিজেপি ও বাম সমর্থিক নির্দল প্রার্থীদের। বোর্ড গঠনে চাপ সৃষ্টির জন্যই শাসক দল এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
সূত্রের খবর ভোটে সন্ত্রাস আটকাতে কলকাতার পঞ্চসায়রে ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি বাড়িতে রাখা হয়েছিল বিরোধী দলগুলির কয়েকজন জয়ী প্রার্থীদের। বৃহস্পতিবার রাতে সেখান থেকেই অপহরণ করা হয় জয়ী প্রার্থীদের। তিন চারজন দুষ্কৃতি এসে তাঁদের অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় পঞ্চসায়ের থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রবীণ বাম নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এই তিন প্রার্থী দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছিলেন। পঞ্চশায়ের থানা এলাকার পিয়ারলেস হসপিটালের কাছের একটি গেস্ট হাউজ থেকে মাঝারাতে জোড় করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। এই প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন,'অপহৃতদের মথুরাপুর এক নম্বর ব্লকে কর্ম তীর্থের গেস্ট হাউজে রাখা হয়েছে।' পাশাপাশি গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সরব হন তিনি। তাঁর কথায়,'পুলিশের ভূমিকা নক্কারজনক। সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমঙ্কী জিডি নম্বরও দেওয়া হয়নি। সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারের পর তৎপর হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, অন্যদিকে অশান্তি ঠেকাতে এবার ভাঙড়ের রাশ কলকাতা পুলিশের হাতে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ভাঙড়ের জন্য আলাদা ডিভিশন তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই জোড় কদমে তোড়জোড় শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভাঙড় ১ ও ২ নম্বর প্রশাসনিক ব্লকই কলকাতা পুলিশের আওতায় আসবে। ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জন্য বড় পদক্ষেপ। ভাঙড়ে নতুন করে আরও পাঁচটি থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে ভাঙড়ের আট এবং প্রগতি ময়দান-সহ মোট ৯টি থানাকে নিয়ে গোড়ে তোলা হবে নতুন পুলিশ ডিভিশন বেঞ্চ। এই নতুন ডিভিশন তৈরি হওয়ার আগে আট এবং প্রগতি ময়দান-সহ মোট ৯টি থানা।